অবতক খবর,১৭ এপ্রিল: চলচ্চিত্র জগতে নির্দেশক হিসেবে রাজ চক্রবর্তীর নাম কে না শুনেছে? তিনি আমাদের ভূমিপুত্র, হালিশহর নবনগর কলোনির বাসিন্দা। এটি আমাদের নিশ্চিত গর্ব এবং অহঙ্কার। ‌ সাংস্কৃতিক জগতে চলচ্চিত্র নির্মাণ শিল্পী হিসেবে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য একটি চলচ্চিত্র হল ‘প্রলয়’। যা সময়ের চিত্র এবং প্রতিবাদী চিত্র। এই চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে তিনি বিশাল পরিচিতি এবং খ্যাতি লাভ করেছিলেন।

সেই নির্দেশক, চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী হালিশহরের অসহায়, পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এই করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন। আমাদের সংবাদকর্মী রঞ্জন ভরদ্বাজকে তিনি বলেন, দুঃস্থ শব্দটি ব্যবহার করবেন না। যে সমস্ত মানুষ অসহায়, পিছিয়ে পড়ে আছে তাদের আমি কোন ত্রাণ বলে কিছু দিচ্ছি না। এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে আমি তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আমি যেহেতু এই অঞ্চলের ভূমিপুত্র, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।‌

তাঁর সহযোগী বন্ধুরা এই হালিশহর অঞ্চলে ১ হাজার মানুষের মধ্যে চাল, আলু এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী বন্টন করেছেন। তিনি সংবাদ কর্মী রঞ্জন ভরদ্বাজকে জানান, আমি সরাসরি ময়দানে নামিনি। কারণ,এতে ত্রাণকার্য বিতরণ ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে‌ এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা যাবে না।‌ লোক ভিড় করবে, কমিউনিটি কন্টাক্টের সম্ভাবনা আছে। এর জন্য আমি দূর থেকে হালিশহরবাসীর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করছি, তাঁরা সুস্থ থাকুক,ভালো থাকুক। প্রতিমুহূর্তে আমি তাদের পাশে আছি এবং অন্যান্য কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তার রূপরেখাও আমি রচনা করতে চলেছি।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, তিনি বীজপুরবাসীর পাশে আছেন এই দুঃসময়ে। তিনি যদি নিজের ভূমির কাছেই না থাকেন, মানুষের কাছেই না থাকেন তাহলে তাঁর জন্মই বৃথা। কারণ এই মাটির জল আবহাওয়ায় তিনি মানুষ হয়েছেন।যাই হোক, তিনি নিজের মুখেই একথা স্বীকার করেছেন যে, আঞ্চলিক পোর্টাল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে অবতক খবর একটি জায়গা করে নিয়েছে। তিনি এটির মান্যতা দিচ্ছেন এবং তিনি উপরন্তু বলেন, এই অবতক খবর আমি তো দেখিই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও এই নিউজ পোর্টালটির বিষয়ে ওয়াকিবহাল।

এছাড়া তিনি বলেন, আমাদের দলীয় নেতা তো বটেই তিনি আমার বন্ধু সুবোধ অধিকারী, তিনি যেভাবে কর্মসূচি নিয়েছেন, যে কর্মোদ্যোগ রচনা করেছেন,তাকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি এবং প্রতি মুহূর্তে আমি তাঁর পাশে আছি।