নরেশ ভকত :: বাঁকুড়া :: আজ ভোরে মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লটিয়াবনি এলাকায় থাকা ছাই পুকুর থেকে ডাম্পারে ছাই বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় মেজিয়া থানার পলাশী গ্রামের ডাম্পার চালক দীপেন খাঁ। ছাইপুকুর থেকে ডাম্পার নিয়ে একটু এগোতেই ডাম্পারের যান্ত্রিক গোলযোগ হয়। ডাম্পারের চালক দীপেন খাঁ ছাই পুকুরের রাস্তার ধারে ডাম্পার দাঁড় করিয়ে মেরামতির জন্য ডাম্পারের নিচে প্রবেশ করে। আলো দেখানোর জন্য ডাম্পারের নিচে প্রবেশ করে লরির খালাসিও। আচমকাই লরিটি গড়িয়ে যেতে শুরু করে। ডাম্পারের নিচে মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকা ডাম্পার চালক দীপেন খাঁ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাম্পারের পিছনের চাকায় পিষে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লরির ওই চালকের।
গুরুতর জখম হলেও প্রানে বেঁচে যায় লরির খালাসি। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। স্থানীয়রা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে বিক্ষোভ শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডাম্পার মালিক ও তার অনুগামীরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর সঠিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন তারা। তারপর সেই আশ্বাসে ওঠে বিক্ষোভ। ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যাওয়ায় ময়না তদন্তের জন্য গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা বলছেন সামান্য অসাবধানতাই কেড়ে নিল চালকের প্রাণ। কারন ডাম্পারের চালক যদি একটু সচেতন হয়ে গাডির চাকায় স্টোপার দিয়ে মেরামতের কাজে হাত দিতেন তাহলে হয়তো বেঁচে যেত এই যুবকের প্রাণ।