অবতক খবর :: হুগলী :: বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে শ্রীরামপুরকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন, আর সেই মত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
বাজার গুলিতে ভিড় এড়াতে এর মধ্যেই শ্রীরামপুরের সমস্ত সব্জি বাজার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর বিকল্প হিসেবে ঠিক করা হয় ওয়ার্ড ভিত্তিক সব্জি ভেন্ডার নিয়োগ করা হবে, এই ভেন্ডাররাই ঠেলা গাড়ির মাধ্যমে ওয়ার্ড গুলিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সব্জি বিক্রি করবে। সেই মতো প্রৌর সদস্যের ঠিক করা ভেন্ডারদের পরিচয় পত্র দেওয়া হয়।
কিন্তু দেখা গেলো বাস্তবের চিত্রটা সম্পুর্ন উল্টো, প্রশাসনের এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাজার সংলগ্ন এলাকাতেই এক জায়গাতেই ঠেলা গাড়িতেই চলছে সব্জি বিক্রি। আর ঠেলা গাড়ি থেকে সব্জি কিনতে সোশ্যাল ডিস্টেন্স না মেনেই ভিড় করছে ক্রেতারা। এদিকে বাজার বন্ধের নেটিশে বাইরে না বেড়িয়েই বাড়িতেই অপেক্ষা করছে পৌরবাসীরা সব্জি বিক্রেতারা আসবে বলে। এ বিষয়ে এলাকার পৌরসদস্য অবশ্য সব দোষ এড়িয়ে পাল্টা দোষ চাপিয়েছে পুলিশ প্রশাসনের দিকে, তাদের যুক্তি পুলিশের নজরদারি অভাবে এই কাজ করছে ভেন্ডাররা। শ্রীরামপুরে ইতিমধ্যেই করোনার থাবা পরেছে, করোনাকে বাগে আনতে প্রশাসনের বাজার বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও হুঁশ ফেরেনি এই সব ভেন্ডারদের, তারা চাইছে এই সময়ে যতোটা পুঁজি লাগিয়ে মুনাফা ঘরে তুলতে। তাই করোনাকে ভয় নয়, বারতি দাম নিয়ে মুনাফাটাকে পাখির চোখ করেছে তারা।