অবতক খবর ::   বিভাজনকে হারিয়ে মানবতার জয় বা সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই এটাই শ্বাশত। লকডাউনের মধ্যে মানবতার বার্তা ফুটে উঠল মালদায়। রোজার মাস চলছে। রোজা ভেঙে ভিন জেলার এক রোগীকে রক্তদান করেন হামিদুল ইসলাম। ওল্ড মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বলাতুলি গ্রামের বাসিন্দা এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র হামিদুল এই প্রথম রক্তদান করেন ।

জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণা দাশ গুপ্ত। বয়স ৭০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয় । মালদা শহরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন । সূত্রে প্রকাশ, রোগীর জন্য নিয়মিত দুই ইউনিট ‘বি পজিটিভ’ রক্তের প্রয়োজন হয় । মঙ্গলবার রক্ত সংগ্রহ নিয়ে চিন্তায় পড়েন পরিবার। অসুস্থ মায়ের জন্য ছেলে সুদীপ্ত দাশগুপ্ত কোন রকমে এক ইউনিট জোগাড় করতে পারলেও আরও এক ইউনিট রক্তের অভাবে রোগীর ডায়ালাইসিস আটকে ছিল। রক্তের প্রয়োজনীয়তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেন ছেলে সুদীপ্ত । এদিকে কালিয়াচকের নতুন আলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য আলমগীর খান এই খবরটি দ্রুত পান। রক্তদান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন ছাত্র হামিদুল ইসলামকে । হামিদুল ইসলাম রোজার মধ্যে ১৩ কিমি বাইক চালিয়ে এসে মালদা ব্লাড ব্যাংকে রক্তদান করেন ।

হামিদুল বলেন, এখন লকডাউনে রক্তের সংকট চলছে। রক্তের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব উপলব্ধি করে রক্তদান করলাম। পবিত্র রমজানে রোজা ভেঙে মালদা ব্লাড ব্যাংকে রক্তদান করে মানসিক তৃপ্তিবোধ হচ্ছে। সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা জানায়। এই রকম পরিস্থিতিতে মহিদুল যে বড় মানবিকতা দেখিয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না । আমি অভিভূত হয়েছি ।মালদা জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষন চক্রবর্তী বলেন, যারা এই লকডাউন ও সংকটের মধ্যে রক্তদানে এগিয়ে আসছেন তাদের সকলকে স্যালুট জানান। হামিদুলের রক্তদানকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি বলেন, এর থেকে মানবতার ও ভালো কাজ আর কিছু হতে পারে না ।