উৎপল রায় :: অবতক খবর :: ময়নাগুড়ি :: লকডাউনে শঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে শস্যগোলায়। এপ্রিল মাসের শেষেই মাঠ থেকে বোরোধান তোলা শুরু হবে। কিন্তু এই লকডাউনের বাজারে ধান কাটা ও ঝাড়ার জন্য শ্রমিক মিলবে কোথা থেকে, সেই ভেবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের। সে কারণে আগেভাগেই কাটা শুরু করে দিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের ছোট ধমনী এলাকার চাষিরা।
খরিফ বা আমনের তুলনায় বোরোচাষে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বেশি তেমনি ঝুঁকিও বেশি। বোরোধান তোলার ভরা মরশুমে কালবৈশাখীর চোখ রাঙানি থাকে। থাকে ঝড় বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ। তাই চাষিরা এই সময়ে জমিতে বেশি শ্রমিক নিয়োগ করে অল্প সময়ে ধান তোলার কাজ সেরে নিতে চান। বছর বছর এটাই হয়ে থাকে। কিন্তু এবার বাধ সেধেছে করোনা ভাইরাস।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও দ্বিতীয় পর্যায়ে লকডাউন চলছে। যদিও চাষের কাজে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। কিন্তু ফি বছর বোরোধান মাঠ থেকে কাটা ও তোলার কাজ করতে হয়। ময়নাগুড়ি ব্লকের ছোটো দমনী গ্রামের বোরো চাষি মৃনাল পাল বলেন, ‘‘সব জমিতেই ধানের রঙ পাল্টাচ্ছে। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ধান পাকতে শুরু করবে। এপ্রিলের শেষের দিকে মাঠের ধান ঘরে তুলতেই হবে।’’