অবতক খবর,১৪ মে: লকডাউন চলছে। মানুষ করোনা কালীন এই দুঃসময়ে বিপর্যস্ত জীবনযাপন করছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলেরা তাদের সেই রাজনৈতিক খেলায় মেতে আছে। একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলেরা ত্রাণ বন্টন করছে,এটা সত্য। অন্যদিকে এর মধ্যেও রাজনৈতিক কৌশল গোষ্ঠীবাজি,দ্বন্দ্ব এবং রাজনৈতিক বিভেদ সৃষ্টি করার একটা প্রচেষ্টা রয়েছে। তা বীজপুর বিধায়ক ও বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায়ের কাছ থেকে যেমন জানা গেল, তেমনি তৃণমূল নেতা কমল অধিকারীও বিষয়টি ফাঁস করে দিলেন।
বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায় যে মুকুল রায়ের মতোই কূটনীতি এবং চাণক্যগিরিতে ওস্তাদ হয়ে পড়ছেন রাজনীতিতে,তা তাঁর বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে। তিনি বলেন, তৃণমূলের কি পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অবস্থা সেটা বোঝার জন্য তারা নিজেরাই কিছু পুরনো বিজেপি কর্মীদের সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন, তাদের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অনুমান করার জন্য। সেখানকার তৃণমূলের রাজনীতির স্থানীয় পরিস্থিতি সেটি ভালোভাবে অনুধাবন করার জন্য। বিগত দিনে সিটি লাইফে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি মোটেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। সেটি হল এই রাজনৈতিক বাস্তবতা, তৃণমূলের পরিস্থিতি কি সেটা বোঝার জন্যই এই ঘটনাটি ঘটেছে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কমল অধিকারী বলেন যে, বিজেপি যেমন রাজনৈতিক কৌশল জানে, আমরাও রাজনৈতিক কৌশল কিছু কম জানিনা। যাতে বিজেপির মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লাগিয়ে দেওয়া যায় এবং প্রকাশ্যে মানুষের সামনে সেটা আনা যায় সেইজন্যই আমরা বিজেপির কিছু কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলাম। সেইদিন যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তৃণমূলের রাজনৈতিক সক্রিয়তা যে কতখানি সেটির প্রমাণ পাওয়া গেছে। কারণ সেদিনের গন্ডগোলে পুরনো এবং নব্য বিজেপি কর্মীদের মধ্যে যে গোষ্ঠী কলহ রয়েছে সেটি আমরা প্রকাশ্যে এনে দিতে পেরেছি।
অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া বিজেপির প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সমর দাস আহত অবস্থায় রয়েছেন। অবশ্য তিনিও এটা পরিষ্কার স্বীকার করে নেন যে, এটা আমাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নব্য বিজেপির এখানে এসে যে মাতব্বরি করছে, বিজেপিতে সদ্য এসে যে তাদের প্রাধান্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে তাকে প্রতিহত করার জন্যই এই সংঘর্ষটি হয়েছে। আমরা চাইছি যারা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করে আসছে, বিজেপিকে যারা কাঁচরাপাড়া বা এই অঞ্চলে জনসমক্ষে নিয়ে এসেছে তাদের ভূমিকা যে কতখানি এটি বোঝানোর জন্যই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এটাই তার পরিণতি। এটা তিনি স্বীকার করে নেন।
অন্যদিকে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ তিনি জানান,পক্ষান্তরে তিনি এটা যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাও স্বীকার করে নেন। এই ঘটনার সঙ্গে যে বিজেপি কর্মীরা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।