১৯ মে। একটি মানুষের জন্মদিন। আসলে লড়াইয়ে, সংগ্রামে এসব মানুষের জন্ম হয় প্রতিদিন। নামটি উল্লেখ করছি না। পাঠকরাই বুঝে নিন।
মানুষকে কত ভাবে চেনা যায়
তমাল সাহা
মানুষটিকে মনে পড়ে যায়
একদিন এসেছিল
আমাদের পাড়ায় কলকাতায়।
কত ভাবে কত মানুষকে
কত রূপে চেনা যায়!
অদ্ভুত মানুষ,
ছুঁচলো তার দাড়ি, চাপা গাল
চোখ কি তেমন বড়?
ছোটই বা বলি কি করে
নাহলে অতদূর কি করে দেখতে পারে!
আমেরিকার অত বড় থাবা
দাবড়ে দিয়েছিল মানুষটি।
দেশের জনগণকে নামিয়ে দিয়েছিল লড়াইয়ের ময়দানে্
পিঠে শিশুটিকে বেঁধে
ক্ষেতে খামারে মায়েরাও
সজ্জিত ছিল রাইফেল গানে।
সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে
কে করবে ক্ষমা?
সে যতই বড় বিধ্বংসী বিস্ফোরক হোক নাপাম বোমা!
সংগ্রাম কাকে বলে
কাকে বলে যুদ্ধ
এই রোগা পাতলা মানুষটি
দেশ চেতনায় জাতিকে করেছিল উদ্বুদ্ধ।
ভিয়েতকং গেরিলা যুদ্ধ
এক দুনিয়া কাঁপানো সংগ্রাম।
মুখে মুখে তখন তোলপাড় একটিই নাম– ভিয়েতনাম! ভিয়েতনাম!
মানুষটি এসেছিল —
পায়ে টায়ারের চটি
সাদাসিধে তার চলন।
রাজভবনে সংবর্ধনা সভায়
দীর্ঘ লাল কার্পেট না মাড়িয়ে
পাশ দিয়ে হেঁটে যায় মানুষটি—
হতবাক উপস্থিত সুধীজন
এ কী আশ্চর্য উদাহরণ!
মানুষটিকে চিনে নিন
চাচা হো! কমরেড হো চি মিন!