গেরুয়া প্রবাহ বইছে। চলছে সবুজ বনাম গেরুয়া লড়াই।
রক্ষাকবচ
তমাল সাহা
এখন কবিতা লেখার শুরুতে
মাথায় লিখি তোমার নাম—
সহায় জয় শ্রীরাম!
শ্রীরামের এত মাহাত্ম্য বুঝিনি কখনও।
এখন ঝাঁপি খুলে গেছে
বেরিয়ে পড়েছে সাপ লুকোনো।
ভয় দূর করে নাকি এই নাম!
বুকেতে আঁচড় কাটি
বড় বেশি ভয় পাই, তাই।
আরো বড় করে লিখি—
রঘুপতি রাঘব রাজা রাম।
প্রণমি তোমায়,
রক্ষা করো প্রভু!এই ধরাধাম।
রাম নামে কি কোনো নেতা ছিল?
তার নামে ভাঙে
পার্টি অফিস,ঘর-বাড়ি।
গেরুয়া পতাকা উঠে যায়
বেদখল দপ্তরের মাথায়
উড়তে থাকে সারি সারি।
বাহকেরা শব কাঁধে নিয়ে যায়
শ্মশানখোলায়।
কান পেতে শুনি ধ্বনি–
রাম নাম সত্য হ্যায়!
লাশ হবার আগেই আমি
সোচ্চারে বলে উঠি–জয় শ্রীরাম!
দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখি অগ্নিপরীক্ষা,
দাউ দাউ জ্বলছে গ্রামকে গ্রাম।
বাকি সব রঙ ফিকে হয়ে যায়
রাখি না মনে কোনো ধন্দ।
গেরুয়ায় তিলক কাটি
গলায় উত্তরীয় মাথায় ফেট্টি—
গেরুয়া আমার ভীষণ পছন্দ।
তখনও স্বস্তিকা আঁকা পতাকা ছিল।
ব্রাউন রঙের শার্ট
হেঁটে গিয়েছিল জার্মান দেশে।
সেই গেস্টাপোরা গেরুয়া হয়ে এলো
এখানে অবশেষে!
হিটলার! হিটলার! হিটলার!
ভারত মহাসাগর উপকূলে
ভেসে ওঠে কন্ঠস্বর,
চোপ শালো!
আভি মেরা কারবার।