অবতাক খবর, সংবাদদাতা :: কোভিড-19 সংক্রমণের জন্য বেশ কিছুদিন লকডাউন থাকাকালীন সমস্ত কিছু বন্ধ ছিল। শান্ত ছিল রাজনৈতিক হানাহানি ও কিন্তু যেই আনলক ফেজ ওয়ান শুরু হলো তার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত দোকানপাট বাজারহাট সবকিছুই খুলে গেছে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে খুলে গেল রাজনৈতিক বাজার। শুরু হয়ে গেছে সমস্ত ক্ষমতাধারী ও বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।
লকডাউনে ছাড পাওয়া মাত্র নৈহাটিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষ লড়াইও কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। গতকাল রাতে 27 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক সোনার কে বেধড়ক পিটিয়েছে তৃণমূল সমর্থক রা বলে অভিযোগ। ক্ষমতাধারী দলের সমর্থকরাই এই মানিকের উপরে হামলা চালিয়ে তাকে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ মানিকের।
গুরুতর আহত মানিককে প্রথমে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা খারাপ হওয়াতে, তাকে কল্যাণী মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়।
নৈহাটিতে বিজেপি কর্মী মানিকের উপরে হামলার প্রতিবাদে বিজেপি নৈহাটি মন্ডলের পক্ষ থেকে নৈহাটি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন নৈহাটী মন্ডলের সভাপতি সুব্রত দাস। ঘটনাস্থলে হাজির হন দাপুটে বিজেপি নেতা গণেশ দাস।
30-40 জন সমর্থকদের নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা ।পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে প্রতিশ্রুতি দিলে তারা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন। জানা গেছে নৈহাটী পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই তিনজন অভিযুক্তদের আটক করেছে।
উল্লেখ্য যে গত 27 জুন ডোমপটটি এলাকার কিছু ছেলে গিয়ে মানিকের দোকানে মাংস করে দিতে বলে। মানিক দোকানে খদ্দের থাকা কারণে মাংস করতে রাজি না হলে, তারা ফোন করে আরও 3-4 জন কে ডেকে নেয়। আর মানিক কে চড় থাপ্পড় দিয়ে তার দোকানের ক্যাশ লুটে নেয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় তার দোকানেও।
মানিক তার স্ত্রীকে নিয়ে রাধাবল্লভপুর রোডে একটি ফাস্টফুডের দোকান চালায়। মানিক সোনার বিজেপি সমর্থক বলে এলাকার লোকের কাছে পরিচিত । তাই মন্ডল টু এর সভাপতি কে সঙ্গে নিয়ে নৈহাটি থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয় । মনু দাস, বান্টি হাড়ি ভানু মল্লিক, বাবু দাস ও বিশালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে পুলিশ তাদেরকে ধরতে তৎপর হয়।
দোকানে ভাঙচুর করার খবর অবতক খবরে প্রকাশিত হয়। আর এতেই আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন হামলাকারীরা। তারা পরের দিন অর্থাৎ গতকাল রাতে মানিকের বাড়িতে লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মানিকে তারা পিটিয়ে আধমরা করে রেখে দিয়ে চলে যায়।
অন্যদিকে মানিকের উপরে হামলা নিয়ে হকার নেতা বিষ্ণু অধিকারি কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান মানিক নিজেই ফেরোসেস ছেলে । 23সে মে এরপর তার নেতৃত্বেই পৌরসভায় ভাঙচুর ও মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল । এখন অর্জুন সিং আবার রাজ্যে পদ পেয়েছেন, সেই আনন্দে মেতে উঠেছে মানিক। দোকানে খরিদ্দার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে ধমক দিচ্ছে।তার দোকানে গন্ডগোল মেটাতে তৃণমূলী সমর্থকরা গেলে সে নিজেই চড়াও হয়ে তাদের উপরে বলে শুনেছি আমি। বিষ্ণু জানান মানিককে ,কে মারবে নিজেই একটা গুন্ডা। মাঝেসাজেই গন্ডগোল পাকাতে থাকে সে।
অন্যদিকে নৈহাটি বিজেপি নেতা গণেশ দাস জানান পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ কাজ করছে না আমাদের ছেলেদের উপরে লাগাতার হামলা করা হচ্ছে ক্ষমতা থাকলে এই হামলা চালাচ্ছে এর পরে তারা সামাল দিতে পারবে তো। গণেশ দাশ বলেন পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে ও কাজ করতে দেওয়া উচিত । প্রশাসন কাজ করবে তারা বিচার করবে কিন্তু রাজনীতির লোক রাজনীতি করবে। মারধর করে কোনো সুরাহা হয় না বেশিদিন কাউকে জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে রাখা যায়না।
সব মিলিয়ে নৈহাটিতে যে অশান্তি ফিরে আসে তা নেটের অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে