রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া :: দীর্ঘ লকডাউনে আটকে থেকেছেন ভিন্ন রাজ্যে। অনেক চেষ্টা করে কেউ ট্রেনে করে কেউ বসে চড়ে, কেউ বা মালবাহী লড়িতে ফিরেছেন রাজ্যে। সেখান থেকে নিজের জেলা নিজের এলাকায়। তবু সমস্যা মেটেনি। এখনো লালারসের পরীক্ষা করায় নি স্থানীয় প্রশাসন। অগত্যা থাকতে হচ্ছে বাড়ির কাছের কোয়ান্টারইন সেন্টারে। হ্যাঁ এটাই মোটের উপরে চিত্র এই রাজ্যে ফেরত আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের।
আটকে পড়েছেন তাঁরা। রাজ্যে সরকার থাকার ব্যবস্থা করলেও খাওয়া দাওয়ার দায়িত্ব নেয় নি। কীভাবে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হবে, তা ভেবে মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল তাঁদের। অগত্যা বাড়ির লোকেদেরকেই বাড়ির রান্না করা খাবার দিয়ে যাচ্ছিল। তাতে ঝুঁকি ছিল পরিবারের লোকেদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার। সেই অবস্থায় এগিয়ে আসে একজন সমাজসেবী সংগঠন। তারপর থেকে ওই কোয়ান্টারইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের দুবেলা খাবারের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। ঘটনাটি পাঁচলা,জুজারসাহা পিএন মান্নার স্কুলে কোয়ারেন্টাইন এ থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের। তাই তারাও তাদের থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা হওয়ার দরুন কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নিজেদের কাঁধে তুলে নিল স্কুলে থাকাকালীন স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব।
এই বিষয়ে সংগঠনের প্রধান বলেন তিনি এদের পরিযায়ী শ্রমিক বলার তীব্র বিরোধী। এরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করেন। সরকারকে ট্যাক্স দেন। আর এদেরকে করোনার বাহক বলে অপ-প্রচার করা হচ্ছে। এর মানুষ এবং সমাজের অনেক মানুষের থেকে বেশি শিক্ষিত তাই এর যে স্কুলে বাস করছে। সেই স্কুল ও স্কুলের চত্বর কে সুন্দর ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখছে। তিনি দাবি করেন স্কুল চলাকালীন অব্দি এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ছিল না কিন্তু যেভাবে এরা দায়িত্ব নিয়ে নিজে থেকে করছে।