অবতক খবর :: উত্তর দিনাজপুর :: রহস্যজনকভাবে এক শিশু কন্যা সহ জোড়া খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ইসলামপুর শহরের রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকার ঘটনা। শুক্রবার সকালে এই ঘটনা চাউর হতেই আতঙ্কে এলাকাবাসী। ঘটনায় মৃত মা ও মেয়ে। মৃত মহিলার নাম ভারতী রায়।মেয়ের নাম জানা না গেলেও বয়স মাত্র তিন বছর।
বাড়িওয়ালা ভজ বাবু জানান, প্রতিদিনের মতো স্বামী ও স্ত্রী ঘুমন্ত মেয়েকে বাড়িতে রেখে স্থানীয় নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি চত্বরে চায়ের দোকান করতে যান। দোকান খুলে মহিলা বাড়ি ফিরে আসেন মেয়েকে দেখভালের জন্য এবং বাড়ির অন্যান্য কাজ করার জন্য। কিন্তু এদিন হঠাৎ মুন্না রায় বাড়ি চলে আসেন।
তিনি জানান, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি থেকে ওই মহিলা দোকানে না যাওয়ায় সন্দেহ হয় ওই চা বিক্রেতার। এরপর ভারতী রায়ের স্বামী মুন্না রায় বাড়ি এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভিতরে পড়ে রয়েছে তার স্ত্রী ও তিন বছরের শিশু কন্যা। আচমকা রহস্যজনক মৃত্যু দেখে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। বাড়ির মালিকের কাছে জানতে চান তিনি কিছু জানেন কিনা। তিনি জানান,সে সময়ে তিনি পূজা করছিলেন। এঘটনার কিছুই জানেন না।
ইসলামপুর পৌরসভার প্রশাসক কানাইলাল আগরওয়াল জানান ,মৃতার স্বামী চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরে ঘর খুলে দেখতে পান তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং একই রকম ভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিছানায় তার ছোট্ট শিশু কন্যা। সবজি কাটার বটি দিয়ে ওই দুজনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনার পিছনে কোন পারিবারিক বিবাদ লুকিয়ে আছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। ঘটনার পর ওই চা-বিক্রেতা মুন্না রায়কে পুলিশ আটক করেছে। প্রকাশ্যে দিন দুপুরে কিভাবে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।এই জোড়া মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে এই ঘটনার খবর চাউর হতেই কাতারে কাতারে মানুষ মনে একরাশ কৌতূহল নিয়ে ছুটে আসেন রামকৃষ্ণ পল্লীর ওই বাড়িতে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। তা পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে।