অবতক খবর,১ জুলাই: আজ ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিন শহর জুড়ে পালিত হচ্ছে। পৌরসভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। দিনটি চিকিৎসক দিবস হিসেবে স্বীকৃত। এই দিনই ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিযোগ করেন যে, তাঁর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়টি ভাঙ্গার পরিকল্পনা চলছে। ইতিমধ্যে সেই ক্লাব ঘর থেকে ফ্যান, টিউবলাইট সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন,এই তৃণমূল কার্যালয়টি অন্ততপক্ষে ২০-২৫ বছর ধরে এখানে চলছে। কিন্তু কি কারণে জানিনা তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী এই কার্যালয়টিকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। সুভাষ চক্রবর্তী পরিষ্কার বলেন, এই কার্যালয়টির পেছনে একটি জমি রয়েছে। এই জমিটির মালিকানা লক্ষ্মণ দাস এবং অন্যান্যদের অধীনে রয়েছে। যেহেতু জমিটির সামনে তৃণমূল কার্যালয়টি রয়েছে। তাই এরা এটি ভেঙে দিতে চায়।
তৃণমূলের এই কার্যালয়টি পিডব্লুডি এবং পৌরসভার জায়গার উপর অবস্থিত। কিন্তু তৃণমূল সরকার শাসন ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এটি ভেঙে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে ওই জমির মালিকপক্ষ এবং কিছু তৃণমূল কর্মী সদস্য ও নেতৃস্থানীয় মানুষ। সুভাষ চক্রবর্তী বিষয়টি পৌর প্রশাসক সুদামা রায়কে জানান এবং তিনি এই বিষয়ে যখন থানা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে যান তখন তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে,আমি থানা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর থেকে বিরত থাকছি। কারণ এক তৃণমূল নেতা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, এখন এই বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করবেন না, বিষয়টি আমি দেখছি।
অন্যদিকে এখন পৌরসভা প্রশাসকের অধীন, পূর্ব উপ পৌরপ্রধান মাখন সিনহা জানান যে,আমি বিষয়টি জানি।এটি দীর্ঘ বছরের কার্যালয়। যেহেতু এর সঙ্গে দলীয় নেতারা যুক্ত হয়ে গিয়েছেন, কেন যুক্ত হয়েছেন নিশ্চয়ই পরিষ্কার করে বলার দরকার নেই। সুতরাং আমি অত বিশদে যাচ্ছি না। কিন্তু এই বর্তমান শাসক আমলে এই তৃণমূলের কার্যালয়টি ভাঙ্গার প্রক্রিয়া চলছে কাদের স্বার্থে এ বিষয়ে নিশ্চয়ই জনস্বার্থে এটি প্রকাশ করা উচিত বলে আমি মনে করি। তাই আমি বিশদ জানাচ্ছি যে,এই তৃণমূল কার্যালয়টি কিছুতেই ভেঙে দেওয়া যাবে না। আমি এর বিরোধিতা করব।
বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হওয়ায় ভাঙ্গনের মূল প্রক্রিয়াটি স্থগিত রয়েছে। ওই জমির মালিকপক্ষ লক্ষণ দাসের সঙ্গে কোন অবৈধ আঁতাত হয়েছে বলে মনে করছেন সুভাষ চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য ২৩শে মে ২০১৯, যখন একটি গৈরিক প্রবাহ চলছে সেই সময়ে মালিকপক্ষ ওই ভবনটি ভাঙ্গার পরি ব্যবহারিক চক্রান্ত করেছিল এবং ওই অফিসের গেটের সামনে বালি,পাথর ফেলে জায়গাটিকে ব্লক করে দিয়েছিল,এমনই জানিয়েছেন সুভাষ চক্রবর্তী। তিনি ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তখন তিনি বিষয়টি চেয়ারম্যানের গোচরে এবং জেলা কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। ফলে তখনকার মতন বিষয়টি স্থগিত হয়ে যায়।