সাজ্জাদ হোসেন আহমেদ :: অবতক খবর :: কোচবিহার :: দীর্ঘ লকডাউনে আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় এবং সাংসারিক অনাটনে পারিবারিক অশান্তির অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন শীতলখুচি অঞ্চলের বামন ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সের যুবক নরেশ বর্মন। জানা যায়, বাবা-মা, এক শিশুপুত্র সহ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। তিনি ও তার পরিবার পরিযায়ী শ্রমিক। ইট ভাটায় কাজ করে যে পরিমাণ টাকা পয়সা তারা নিয়ে আসেন তাও লকডাউনের কারণে বাড়িতে বসে খেয়ে শেষ হয়ে গেছে। প্রতিবেশীদের ধারণা, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, শিশুপুত্র ও বাবা মাকে নিয়ে সাংসারিক অনাটনে বিব্রত ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে হয়তো সে এই পথ বেছে নিয়েছেন।
মৃত নরেশ বর্মনের বাবা সুকুমার বর্মন ছেলের শোকে একরকম বাকরুদ্ধ। বাড়ির লোক জনের কাছে জানা গেল, গতরাতে নিজের বিছানার চাদরকে রশি বানিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নরেশ বর্মন। জানা যায়, গতরাতে তার স্ত্রী তার সঙ্গে ছিলেন না তিনি দুদিন আগে হসপিটালে ভর্তি ছিলেন এবং সেখান থেকে সে বাপের বাড়ি চলে যান। কিন্তু সকাল বেলা এই মর্মান্তিক খবর পেয়ে ছুটে আসেন তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নরেশের স্ত্রী সুভদ্রা বর্মনের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে কোলের শিশু বাচ্চাটিও এতকিছুর কিছুই বুঝলো না।
খবর পেয়ে শীতলকুচি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। শীতলকুচি থানার ওসি কাজল সরকার জানান, মৃত দেহটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তারপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামবেন। আকস্মিক এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ভীষণভাবে শোকগ্রস্থ।