রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া :: সময় মতো কোভিড টেস্টের রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এব্যাপারে মৃতের পরিবার হাওড়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানিয়েছেন লিখিত অভিযোগ পেলে তারা খতিয়ে দেখবেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর শিবপুরের বারুইপাড়া ফাস্ট বাই লেনের বাসিন্দা অজয় সোম (৫২) এর কয়েকদিন আগে জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। গত ৯ ই জুলাই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নবনীড় নার্সিংহোমে চিকিৎসা করালে চিকিৎসক কোভিদ পরীক্ষার পরামর্শ দেন। গত ১০ ই জুলাই হাওড়া জেলা হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিকের কর্মীরা তার সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন পাঠায়। নিয়মমতো এক থেকে দেড় দিনের মধ্যে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা থাকলেও ওই পরিবারের অভিযোগ তারা এখনো হাতে রিপোর্ট পায়নি। এদিকে গতকাল অজয়বাবুর অসুস্থতা বাড়তে থাকে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার কারণে বাড়ির লোকেরা তাকে পরপর চারটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড রিপোর্ট ছাড়া তাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে এমনটাই অভিযোগ তার পরিবারের। অবস্থার অবনতি হওয়ার পর তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শনিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ কোভিড রিপোর্ট হাতে পেলে হাসপাতলে ভর্তির সুযোগ পেতেন। কিন্তু হাতে রিপোর্ট না থাকায় কার্যত বিনা চিকিৎসায় তার দাদা মারা গেছেন। এ ব্যাপারে তারা হাওড়া জেলা হাসপাতালে বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন। এদিকে হাওড়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানান প্রতিদিন হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে কুড়ি জনের নমুনা পাঠানো হয় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। গোটা জেলা থেকে গড়ে সাড়ে চারশ কাছাকাছি নমুনা পাঠানো হয় ওই ইনস্টিটিউটে। এত নমুনার একসঙ্গে পরীক্ষা রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। সেজন্য কোন কোন ক্ষেত্রে রিপোর্ট হাতে দিতে দেরি হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে কি হয়েছে তা তারা লিখিত অভিযোগ জানালে পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।