অবতক খবর :: নদীয়া ::    দীর্ঘ ৩৪ বছর বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে মা মাটি মানুষের সরকারকে ক্ষমতায় আনতে শহীদ হয়েছেন অনেকেই। অনেকটা ঠিক স্বাধীনতার মতো! যারা প্রাণ হারালেন তারা স্বাদ পেলেন না, আর যারা সাত উপভোগ করছেন সেদিন অনেকেই ছিলেন না!

রাত পোহালেই একুশে জুলাই, ছাত্রদের জাগ্রত হওয়া, নেত্রীর নির্দেশে দলীয় কর্মীদের সংযত হওয়া, মহিলাদের প্রতিবাদী হওয়া সহ বিভিন্ন গণসংগঠনের বুথ থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সরাসরি নেত্রীর কাছ থেকে বার্তা নিয়ে নব উদ্যোমে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে রাজনৈতিক কর্মোদ্যম হওয়ার অদম্য ইচ্ছা এবার হয়তো খানিকটা ম্লান হতে বসেছে।

গত বছর আজকের দিনে কলকাতা থেকে দূরবর্তী জেলাগুলি বা অন্য কোন রাজ্য থেকে আগত প্রতিনিধিরা একদিন বা দুদিন আগেই পৌঁছে যেতেন স্টেজের একেবারে সামনে উপস্থিত থেকে নেত্রীকে একবার সামনে থেকে দেখবেন এবং তাঁর মুখনিঃসৃত নির্দেশ নিজে কানে শুনবেন বলে। এমনকি বার্ধক্য বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেও। অনেকেই প্রত্যেক বছর বাড়ি থেকে বের হলেও শিয়ালদা থেকেই প্রত্যাবর্তীত হতে হয় ভিড়ের কারণে , তবুও যেতে হবেই !কারণ এটা একুশে জুলাই। একমাস আগে থেকে সভা-সমিতি সেমিনার, দেয়াল লিখন পোস্টারিং ফ্লেক্স হোডিংয়ে প্রতিটা গ্রাম শহর থাকে মোড়া। আজকের দিনের থেকেই ট্রেন কম্পার্টমেন্টে জোড়া ফুল প্রতীকের ব্যাচ টুপি পরিচিত ফ্ল্যাগ হাতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়। এবছর সবটাই স্মৃতি!

কর্মীদের বার্তা দিতে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আগামীকাল দুপুর দুটোর সময় আসছেন ভার্চুয়াল বক্তব্যে। রাজনৈতিক?নাকি ! সামাজিক? বর্তমান এই অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে কি বার্তা দিতে চলেছেন দলনেত্রী! অপেক্ষায় সারা বাংলা তথা ভারতের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা!