রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া ::    পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য অভিজিৎ চক্রবর্তী দাবি করেন এলাকার লোকেরা একটি ডেপুটেশন জমা করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে অর্থের বিনিময়ে আলো বসানো হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম পয়সায় আলো বসানো যেত। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বিডিও তদন্ত করছেন। তদন্তে দোষী ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপরদিকে মাজু পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জানান মাজু পঞ্চায়েতের রাস্তার আলো নিয়ে যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে সেটা অবৈধ। এই ধরণের একটি অভিযোগ এসেছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে বিডিওর তরফ থেকে পঞ্চায়েত প্রধান কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওয়ার্ক অর্ডার না দেওয়ার জন্য। কিন্তু তার পরেও ওয়ার্ক অর্ডার জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে বিডিও তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি আরো দাবি করেন তাদের দল অন্যায়কারীকে কোনোভাবেই প্রশয় দেবে না। তিনি দাবি করেন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পরই জেলাশাসক সহ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তাদেরকে জানানো হয়েছে। এখন তদন্ত চলছে। তার আরো দাবি তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিকে কোনোভাবেই প্রশয় দেয় নি এবং দেবে না।

পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে উপ-প্রধান জয়ন্ত দাসের দাবি সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমান হয় তাহলে সে তার পদ ছেড়ে দিতে রাজি আছেন।

স্থানীয় পঞ্চায়েত দুর্নীতি হয়নি এই দাবি করলেও সেই দাবি নিয়ে যথেষ্ট দ্বিমত রয়েছে দলের অভ্যন্তরেই। দলের মধ্যে একটি কোর কমিটি আছে যারা মূলত ওই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম দেখাশোনা করে। সেই কমিটি ইতিমধ্যে এই অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় বসেছিল। কিন্তু সেই মিটিংয়ে উপ-প্রধান না আসায় মিটিং করা সম্ভব হয়নি বলেই সূত্রের খবর।