রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া ::      ক্রমশ উর্ধমুখী হাওড়ার কোরোনা আক্রান্তের গ্রাফ। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে রাজ্য তথা জেলা প্রশাসনের কপালে। পরিযায়ী শ্রমিক ফেরার পর হাওড়া গ্রামীনেও কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে লকডাউনের বিধি নিষেধ অগ্রাহ্য করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে শহর জুড়ে।

এমতাবস্থায় সচেতনতা বাড়াতে কনটেন্টমেন্ট জোনে প্রচারই একমাত্র হাতিয়ার প্রশাসনের কাছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যা ও জায়গার বিচারে এক লাফে অনেকটাই বাড়ল কনটেন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা। কিছুদিন আগেও এই সংখ্যাটা ঘোরাফেরা করছিল ৮৬ টি। এরপর তা কমিয়ে করা হয় ৫৬ টি। কিন্তু সংক্রমণ কমার চেয়ে বেড়ে যায় অনেকটাই। এরপরই সরকার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী একলাফে ৯১ টি জায়গাকে কনটেন্টমেন্ট হিসাবে চিহ্নিত করা হলো রাজ্য প্রশাসনের তরফে। উল্লেখ্য, হাওড়ায় কনটেন্টমেন্ট জোন সংখ্যা লকডাউন মধ্যবর্তী সময়েও ৭০ এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে।

প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফেরার পর থেকেই হু হু করে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় হাওড়াও। এই মুহূর্তে যে জেলার স্থান তৃতীয়, অর্থাৎ কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পরেই। শেষ ২৪ ঘন্টা থেকে হাওড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯১ জন। যা একদিনে হাওড়ায় সার্বাধিক সংক্রমিত দিন। এর ফলেই সবমিলিয়ে বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭৫৩ জন। মৃতের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১৭৮ জন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র হাওড়া জেলা থেকেই। এবার নতুন করে রাজ্য তথা জেলায় সাপ্তাহিক লকডাউন চালুর হওয়ার চার দিনের মাথায় আবার বাড়ানো হল কোনটাইন্টমেন্ট জনের সংখ্যা। পাশাপাশি নতুন লকডাউন চালু হওয়ার পরেও সংক্রমনের হারের উপরে আসে নি এখনো কোনো নিয়ন্ত্রণ। শুধু তাই নয় সংক্রমিত এলাকায় অর্থাৎ কোনটাইন্টমেন্ট জনের আওতায় থাকা রাস্তাগুলি ব্যারিকেড দেওয়া থাকলেও পুলিশি প্রহরা নেই। ফলে ফাঁক গলে অবাধ যাতায়াত রয়েছেই। এভাবে কি আদেও আটকানো সম্ভব উর্ধমুখী সংক্রমণ সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।