অবতক খবর , নদীয়া : জাতীয় পতাকা উত্তোলন বিষয়ক বিধি নিষেধ ছোটবেলা থেকেই রক্ত মজ্জায় শিরায়-উপশিরায় চিন্তা চেতনা মননে হওয়া উচিত প্রত্যেক ভারতবাসীর।
কিন্তু এবারে আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়লো জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত অবমাননার চিত্র! তাও খোদ সরকারি হ্যান্ডলুম দপ্তরের অফিসে।
নদীয়ার শান্তিপুর শহরের তাঁতিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সরকারি সুবিধা প্রদানের জন্য নির্মিতবহু পুরানো নদীয়া জেলার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসে গতকাল সসম্মানে উত্তোলন করা হয়েছিলো পতাকা। কিন্তু নামানোর বিষয়ে আগ্রহ দেখা গেলো না, কারোরই।
এ বিষয়ে ওই অফিসের আধিকারিক দেবাশীষ ব্যানার্জি জানান ” তিনি শান্তিপুরে থাকেন না, তাই শান্তিপুরে বসবাসকারী ওই অফিসের সহকর্মী শুভাশীষ বক্সি বিষয়টি দেখেন। গতকাল বৃষ্টির জন্য নামানো সম্ভব হয়নি!”
টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট শুভাশীষ বক্সি জানান “একটি অফিসের দায়িত্ব অবশ্যই ওই অফিসের আধিকারিকের, আমার নয়। তবে নামানোর ব্যবস্থা করছি এখনই।”
অবশেষে আজ ১৬ ই আগস্ট বেলা বারোটার সময় পতাকা নামাতে আসে ওই দপ্তরের অস্থায়ী ড্রাইভার। এলাকার মানুষের ক্ষোভ বিগত দিনেও দু এক বার বলেও লাভ হয়নি পরেরদিন সকালবেলায় অফিসে এসে তবেই নামায় পতাকা। এবছর তাই সংবাদমাধ্যমের শরণাপন্ন হয়েছে তারা।
ওই এলাকার শিল্পী অরুন দাস বলেন “এটা আমাদের জাতীয় লজ্জা”
নাট্যশিল্পী সমিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান “সরকারি দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।” এলাকার যুবকরা জানান যেহেতু তালা দেওয়া, তাই আমরা সরকারি পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকে পতাকা নামানোর সাহস পায়নি! তবে যথেষ্ট পরিমাণে সরকারি বেতনভোগী এতজন অফিসের কর্মচারী মধ্যে একজনের মনে পড়লো না কেনো? বৃষ্টির অজুহাত দিয়ে কেনই বা নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে চাইছেন তারা?