অবতক খবর,২৬শে আগস্ট ::  বৈঁচি বেড়েলা কোচমালি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোদপাড়া সদহাট এলাকার বাসিন্দা দেবনারান মান্ডি পেশায় খেতমজুর তার বছর দশের ছোট মেয়ে সঙ্গীতা মান্ডি জন্মের দেড় বছর পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। প্রতি মাসে তার দু বোতল করে রক্ত লাগে। কিন্তু করোনা আর লকডাউনের ফলে চরম সমস্যায় পড়েছে পরিবারটি। রক্তের কার্ড থাকলেও মিলছেনা রক্ত, লাগবে রক্তদাতা জানিয়েছে হাসপাতাল। তাই হন্যে হয়ে মেয়েকে বাঁচাতে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছে অসহায় বাবা।

স্থানীয় ক্লাব ও আত্মীয়রা বেশ কয়েকবার রক্ত দিলেও এখন তারা আর দিতে পারছেন না। গত 18 ই আগস্ট সঙ্গীতার শরীরে রক্ত দেওয়ার তারিখ ছিল চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে রক্তদাতা না পাওয়া যাওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া যায়নি এখনো। হাসপাতালে গেলেও বারবার ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। সঙ্গীতার বাবা দেব নারান বাবু বলেন, দেড় বছর বয়সে কলকাতা মেডিকেল কলেজের মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাই। সেখানেই চিকিৎসারা জানিয়ে দেয় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সঙ্গীতা। 11 বছর বয়সে এখন আর রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলেও কোন সাহায্য পাওয়া যাচ্ছেনা। ব্লাড ব্যাংকে গেলেও সেখানেও জানিয়ে দেয় রক্তদাতা ছাড়া রক্ত পাওয়া যাবে না । ফলে বাড়িতে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে সঙ্গীতা। একপ্রকার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার যদি সাহায্য করে তবেই মেয়ে কে বাঁচানো যাবে না হলে পরে গলা টিপে মারতে হবে।

হুগলি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রদীপ সাহা বলেন, রক্তের কার্ড নিয়ে মানুষ যদি রক্ত না পায় তাহলে রক্তদান শিবির করাটাই অর্থহীন। তাহলে সরকারকে বলতে হবে রক্তদান শিবির করার কোন দরকার নেই। যাদের রক্ত লাগবে তারা ডোনার নিয়ে যাবে। একটা সরকার তার কোনো সুনির্দিষ্ট নীতি নেই, করানাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিপর্যস্ত।

প্রতিমাসে মেয়েটির দুটো করে রক্ত লাগে। তাহলে প্রতি মাসে ডোনার জোগাড় করবে কীভাবে। আমাদের সরকার যেমন সব ক্ষেত্রে উদাসীন,শুধু চমক দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা।