অবতক খবর , নদীয়া : শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর অঞ্চলে প্রধান সুখিলা বিবির স্বামী ঐ অঞ্চলের ই রেশন ডিলার। কিছুদিন আগে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির তথ্য খাদ্য দপ্তরে জমা না দিয়ে তাদের খাদ্যদ্রব্য নিয়মিত তোলার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ওই এলাকারই বেশ কিছু মানুষ। তাদের আরো অভিযোগ ছিলো ওই পাড়ার মহিলাদের বিবাহ সম্পর্কিত নতুন ঠিকানায পরিবর্তন না করেই বেশকিছু খাদ্যদ্রব্য মজুদ করেন ডিলার , এমনকি সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে রেশন কার্ড জমা নিলেও সারেন্ডার সার্টিফিকেট প্রদান করেন না।
যদিও এ বিষয়ে ওই ডিলার আমিরুল ইসলাম মন্ডল জানান “এটা রাজনৈতিক অভিসন্ধি সাধারণ মানুষকে আমার বিরুদ্ধে ফুসলানো হয়েছে। মহকুমা শাসকের নির্দেশে চার সদস্যের বিভাগীয় এক দল তদন্তে এসে অভিযোগ সম্পর্কে ভিত্তিহীন তথ্য পেয়েছেন। আগামীতে তাদের দেওয়া রিপোর্ট হাতে পেলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
গতকাল আনুমানিক দুপুর দুটো নাগাদ আমিরুল ইসলামের রেশন দোকানের পেছনে বাড়ির পাঁচিলের পাশে দুটি বোম মারে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন মন্ডল এমনই অভিযোগ করেন প্রধান সুখিলা বিবি এবং তার স্বামী রেশন ডিলার আমিরুল ইসলাম মন্ডল। তারা একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং দেখে নিশ্চিত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার প্রশাসন এসে পৌঁছালে তাদের কাছে প্রমাণ জমা দেন।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন দাবি করেন “দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারি খাদ্যদ্রব্য রেশনিং সিস্টেমের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের বদলে দুর্নীতি করছিলো ওই ডিলার, কোথায় অভিযোগ করতে হবে তা তাদের জানা ছিল না। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছি মাত্র। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক ওই রেশন ডিলারের দোকানে থাকা ৬ জন দুষ্কৃতী নিজেরাই বাড়িতে বম ফেলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলদল বাদ দিয়েই এলাকার বিজেপি সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে প্রধানের সঙ্গে বর্তমানে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছি এ বিষয়ে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে জানানো আছে। “