অবতক খবর , উত্তর দিনাজপুর :     সেতু বেহাল অবস্থা, ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ, এমনেই দুই প্রান্তে লেখা ছিলো তাও আবার বৃষ্টির জলের স্রোতে ভেঙে পড়ে গিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সত্যেও যানবাহন চলাচলা করছে! এই সেতু দিয়ে রোজ কয়েকশো গাড়ি যাতায়াত করছে। সেতুটি ভেঙে পড়লে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে পুরো এলাকা। সেই আতঙ্কেই দিন কাটছে গাড়ির চালকেরা ,সহ এলাকার বাসিন্দারা।

উওর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানা থেকে রামপুর যাওয়ার সড়কের ঘোড়া মারা খালের উপর থাকা এই সেতুটি, যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে। চাকুলিয়া কালিবাড়ি হয়ে রামপুর ৩১ নং যাতীয সড়কে গিয়ে মিলিত হয় রাস্তাটি। গুরুত্ব পূর্ণ রাস্তা এটি, রামপুর থেকে আবার গোয়ালপোখর দুই বক্লে, হাসপাতাল ও থানায় আসতে এই সেতুর উপর দিয়ে। দুই বছর আগে বর্ষায় এই সেতুর দুই ধারে মাটি কেটে ভেসে যায়।কয়েক দিন আগে বর্ষায় মাটি আলগা হয়ে যায়। ফলে সেতুর অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু দিন আগে সেতুর ধারে মাটি ভরাট করে যানবাহন চলাচল শুরু করেছিলো সেই মাটি ও কেটে গিয়েছে। সেতুটিকে দূর্বল সেতু বলে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিল ,তা সত্ত্বেও নতুন সেতু তৈরি হচ্ছে না।

গাড়ির চালক তিলকী সিংহ জানিয়েছে কোন রকম গাড়ি পাড়াপার করার জন্য নিজেদের টাকা খরচ করে মাটি ভোরাট করে চলে। কিন্তু প্রসাশন নজর দিচ্ছে না। চাকুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট বিধায়ক আলি ইমরান রমজ্ ( ভিক্টর ) আভিযোগ তৃণমূলের কাটমানি জন্য সেতু তৈরি হচ্ছে না , ঠিকাদারা এলাকায় কাজ করতে পারছেনা। সব জায়গায় তৃণমূল নেতাদের কাট মানি না দিলে কাজে বাধা দেওয়া হয়, এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা হোক বা সেতু কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ।

চাকুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মিনাজুল আরফিন আজাদ বলেন , এত দিন বামফ্রন্ট বিধায়ক ভিক্টর এলাকায় কিছুই করেনি, যেটুকু কাজ হচ্ছে সব টাই তৃণমূলের আমলে ,তিনি আরো জানান রাস্তা তৈরি করার সময় এলাকার বিধায়ক ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করেন , ফলে বহু দিন ধরেই কাজ বন্ধ ছিলো , এখন যেহেতু কাজ শুরু হয়েছে ,বিধায়ক টাকা পাচ্ছে না , মিথ্যা কথা বলে সাধারণ মানুষ কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।