অবতক খবর , ধূপগুড়িঃ    মুখ পুড়লো ধূপগুড়ির ইচ্ছে ডানা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামক একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার। সংস্থার বিরুদ্ধে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজের বিনিময়ে পুরনো ছিঁড়ে যাওয়া ব্যবহারের অযোগ্য ফাটা কাপড়ের পাশাপাশি পোকা ধরা চাল দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যদিও সংস্থার দাবি, শিলিগুড়ির গুঞ্জ নামক অপর আরেকটি সংস্থা তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে তারাই ওই সামগ্রী বিলি করে প্রতারণা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে,রবিবার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়ার বাঘমারা এলাকায়।

জানাযায়, সংস্থার পক্ষ থেকে ও গাদং-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমতিতে স্থানীয় একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে বাগমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা সরকারি জমিতে একটি পুকুর সংস্কার করে মাছ চাষ করা-র কাজ করা হয়েছিল। আজ কাজের বিনিময়ে সংস্থার পক্ষ থেকে মহিলাদের চাল,চিনি ,চা পাতা,সাবান স্যানিটারি ন্যাপকিন কাপড় সহ অন্যান্য সামগ্রী বিলি করা হয়। নিম্নমানের চাল ও কাপড় বিলি করার অভিযোগ তুলে মহিলারা সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া সামগ্রী ফেরত দিয়ে বিক্ষোভ দেখান।ঘটনার জেরে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় মহিলারা জানান, তারা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের মারফত জানতে পান পুকুর সংস্কারের কাজ ইচ্ছেডানা সংস্থার মাধ্যমে স্বেচ্ছাশ্রমে করলে বিনিময়ে কাপড় দেওয়াহবে। সেইমতো তারা কাজ করেন। তার বিনিময়ে যে চাল এবং কাপড় দেওয়া হয়েছে তাদের দাবি, চালগুলো পোকা ধরা, কাপড় গুলো পুরনো ছিঁড়ে যা সভ্য সমাজে ব্যবহারের অযোগ্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, সেই এলাকায় নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও পুকুর সংস্কার করার কাজে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কি কারণে আসলো! সেটাতো এলাকার নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমেই করাতে পারতেন, তাহলেই তো সেই এলাকার বেশ কয়েকজন গরিব পরিবার কাজের সুযোগ পেত।নাকি, এর মধ্যেও কোনো রহস্য আছে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে ইচ্ছে ডানা ওয়েলফেয়ার ফউন্ডেশনের সম্পাদক অলক রায় জানান, শিলিগুড়ির গুঞ্জ নামক একটি সংস্থা তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে আজ সেই সংস্থাই এসব সামগ্রী মহিলাদের মধ্যে বিতরণ করে, তারাই শিলিগুড়ি থেকে সমস্ত কিছু নিয়ে আসে। অলোক বাবুর দাবি ঐ সংস্থা প্রতারণা করেছে।

যদিও এ ব্যাপারে গুঞ্জ নামক অপর ওই সংস্থার কোনো ব্যাক্তিই মুখ খোলেননি।