অবতক খবর , নরেশ ভকত, বাঁকুড়া :      নামেই সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কিন্তু পরিষেবায় গ্রামীণ হাসপাতালের থেকেও শোচনীয়। বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী পরিষেবা নিয়ে এমনটাই অভিযোগ ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার। রোগী বহনের জন্য হাসপাতায় স্ট্রেচার থাকলেও সেগুলি দখল নিয়ে রেখেছে হাসপাতালের আয়া থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। তাই স্ট্রেচার নিতে গেলে তাঁদের হাতে গুঁজে দিতে হচ্ছে ১৫০-৩০০ টাকা। জরুরি কালীন পরিষেবার ক্ষেত্রেও ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালে ব্লাডব্যাংক থাকলেও খুব সাধারণ গ্রুপের রক্তও অমিল।

অভিযোগ, সরকার হাসপাতালে সাধারণ মানুষের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও কার্যত কিছু অসাধু কর্মীদের দখলে চলে গেছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিচালন ভার। তাই অবিলম্বে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবায় সরকারি নিয়ম এবং অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা জানিয়ে সোমবার হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে স্মারকলিপি দিল বিজেপি সমর্থিত ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সদস্যরা। এদিন তাঁরা হাসপাতালের সুস্থ অবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখান।

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা জীবনানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রোগীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য সামান্য স্ট্রেচার পাওয়া যাচ্ছে না। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ স্ট্রেচার আনতে গেলে হাসপাতালের আয়া থেকে কিছু অসাধু ব্যক্তিদের হাতে মোটা টাকা দিতে হচ্ছে। বিষ্ণুপুর ব্লকে বেশ কিছু ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প হওয়া সত্ত্বেও এখানের ব্লাডব্যাংকে সাধারণ গ্রুপের রক্তও পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের ১০২ এম্বুল্যান্সগুলিতে কোভিড পেশেন্ট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবার তাতেই প্রসূতি মা এবং নবজাতকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই অব্যবস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ আমরা হাসপাতাল সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। অবিলম্বে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবায় সাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে না আনলে আগামী দিনে আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো’।

হাসপাতাল সুপার তড়িৎকান্তি পাল জানান, হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমানে স্ট্রেচার রয়েছে। স্ট্রেচার নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগ তিনি ইতিমধ্যেই পেয়েছেন তাই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।