অবতক খবর , নদীয়া : আধুনিক সভ্যতার দাপটে চাষের জমি হোক বা জলাশয় ক্রমশ বিলুপ্তের পথে। অন্যদিকে জনসংখ্যা ক্রমবৃদ্ধিমান আগামী দিনে তীব্র খাদ্য সংকটের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা! সেই চিন্তা ভাবনায় ১৯৮০ সালে ইজরায়েলের এক মৎস্য বিজ্ঞানী প্রফেসর ইওরম এভনিমেলাচ বায়ো অর্থাৎ জৈব এবং ফ্লক অর্থাৎ দল অর্থাৎ জৈব পদ্ধতিতে আবদ্ধ জায়গায় ব্যাকটেরিয়া দলকে কাজে লাগিয়ে জল পরিবর্তন না করেই মাছের বর্জ্য থেকে উৎপাদিত অ্যামোনিয়া, নাইট্রাইট, নাইট্রেট কে ধ্বংস করে ব্যাকটেরিয়ার সেলকে প্রোটিনে রূপান্তরিত করে মাছের খাদ্য হিসাবে পুনরায় ব্যবহার করার “বায়োফ্লক” পদ্ধতির ব্যবহারিক সফলতা পান।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বায়োফ্লক চাষীরা কই , তেলাপিয়া , মনোপিয়া, শিঙ্গি, মাগুর চাষ করে এসেছেন এযাবৎকাল! তবে পাবদা টেংরা বাটা চাষেও সফলতা পাচ্ছে বর্তমান বায়োফ্লক মৎস্যচাষিরা। কিন্তু বায়োফ্লকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে এই প্রথম চিংড়ি চাষ করে অসম্তবকে সম্ভব করে তুললেন অরূপবাবু ৷ জলের মধ্যে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য , জলে দ্রবীভূত লবণ, মিনারেল ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, টিডিএসের মাত্রা , পিএইচ এর মাত্রা, এয়ার পাম্পের সাহায্যে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রোটোবায়োটিক অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগের মাত্রা সঠিক থাকলে এবং উপযুক্ত মাছের খাদ্য খাবার জোগান দিতে পারলেই আপনি সফল! তবে হ্যাঁ, নদীয়ার শান্তিপুর শহরের বিজ্ঞানে স্নাতক ছাত্র অরূপ দেব চাকরির একঘেয়েমি কাটাতে এবং বর্তমান বেরোজগার যুবকদের সঠিক দিশা দেখাতে “বায়োফ্লক এর সহজ পাঠ”নামক বইয়ে এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণে সর্বদা বলে থাকেন ইউটিউব ভিডিও বা অনভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেক বেকার যুবক। তাই প্রশিক্ষণ সংস্থার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে তবেই নামা উচিত এ ব্যবসায়।
এই চাষের প্রতি বর্তমান কর্মহীন যুবকদের আগ্রহে খাদ্য রসিক মাছে ভাতে বাঙালির যে আগামীতে খুব একটা অসুবিধা হবে না সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত থাকতে পারেন।