অবতক খবর , নদীয়া : গতকাল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জেলাশাসকের দপ্তরে সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার্সরা প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে উপেক্ষা করেও বিক্ষোভ দেখায় এবং সিভিল ভলেন্টিয়ার দের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি দাবি সনদ পেশ করেন । নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্ত হাঁসখালি বাদকুল্লা কৃষ্ণনগর চাকদা শান্তিপুর ফুলিয়া পায়রাডাঙ্গা রানাঘাট প্রায় সমস্ত এলাকার থেকে সদস্যরা এসেছিলেন। তাদের পক্ষ থেকে এর আগেও বিডিও অফিস এবং জেলাশাসককে ডেপুটেশন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো রকমই আশানুরূপ ফল পাননি তারা।
উদ্যোক্তারা জানান মাসে ৩০ দিনের কাজের জন্য সুরক্ষা নিশ্চয়তা ,সময় মত মাইনে দেওয়া, ৪৭ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তা , প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা দুর্যোগ মোকাবেলার টিম গঠনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি কে নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। তারা আরো জানান নিজের জীবনকে সুখী রাখে কর্মচারীদের মাসিক বেতন প্রদান, প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের আওতায় আনা বিশেষ প্রয়োজন।বনদপ্তর পুলিশ হোমগার্ড ভলেন্টিয়ার্স হসপিটাল পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করতে হবে যে সমস্ত ভলেন্টিয়ার কোভিদ নাইনটিন এমার্জেন্সি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করো না অন্যজনের সঙ্গে যুদ্ধ করে ডিউটি করছে তাদেরকেও অবিলম্বে স্থায়ী কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধা হিসেবে শংসাপত্র সম্মান দিতে হবে প্রতিটি জেলায় বিপর্যয়ের মোকাবিলা বাহিনীর নিয়োগ করতে হবে অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেলে পরিবারের একটি চাকরি প্রদান করতে হবে ও পরিবারের জন্য সাম্মানিক রাশি প্রদান করতে হবে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে নিযুক্ত প্রত্যেককে সরকারের সমস্ত সুযোগ সু আওতায় নিয়ে আসতে হবে আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে ।
বাংলার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশ্যে তারা বলেন পশ্চিমবঙ্গ সিভিক ভলেন্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজকের জমা দেওয়া দাবি সনদ দেখে নিশ্চয়ই বর্তমান মানবিক সরকার তাদের মহানুভবতা দেখাবেন । যদি এভাবেই চলতে থাকে তবে আগামীতে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তুলবেন তারা।