অবতক খবর, মালদা:- এক সময় রাস্তা, বিদ্যুতের দাবিতে বাম জমানায় পালস পোলিও বয়কটের ঘটনা প্রায়শই শোনা যেত। এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভও হতো। বিশেষ করে পালস পোলিওর নির্ধারিত দিনগুলিতে নিশানা করত কিছু ক্ষুব্ধ মানুষ । জেলার কালিয়াচক এলাকাতে ও এইধরনের ঘটনা ঘটত। এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ক্ষমতায় এখন তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যের মসনদে তৃণমূল আসার পর এখনও পর্যন্ত কোথাও পালস পোলিও বয়কটের মতো ঘটনা কোথাও শোনা যায় নি। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এই সরকার মানুষের দাবি-দাওয়া পূরণে অনেকটাই এগিয়ে। ফলে পালস পোলিও বয়কটের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মূলত কালিয়াচক-১ ও ২ নম্বর ব্লকে এ ধরণের বয়কটের ঘটনা এক সময় বেশি ঘটত। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে পালস পোলিও কর্মসূচি। চলবে বৃহস্পতিবার থেকে। কালিয়াচক ১, ২ ও ৩ নম্বর ব্লক-সহ ইংলিশবাজার ব্লক ও ইংরেজবাজার শহর এলাকায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
করোনা আবহে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার ওপর এবার জোর দেওয়া হয়েছে। সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পিএইচএন ফতেমা খাতুন বলেন,‘করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব মেনে পালস পোলিও কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে । এই সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সুন্দরভাবেই এলাকায় পালস পোলিও কর্মসূচি চলছে। ’ এ প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন,‘আমাদের এই কর্মীসূচি ৪ ব্লক-সহ ইংরেজবাজার শহরে চলছে। দুই লক্ষ একুশ হাজার 399 শিশু পালস পোলিও খাওয়ার আওতায় রয়েছে । রবিবার শুরু হয়েছে, আগামী চারদিন চলবে।’এদিন বৈষ্ণবনগর থানার ষোল মাইল এলাকায় দেখা গেল, একটি ভ্রাম্যমান বুথে চলছে পালস পোলিও কর্মূসূচি। গ্রামের মানুষ অনেকটাই এখন সচেতন। বাম জমানায় ছিল উল্টো চিত্র। এ ব্যাপারে মোথবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,‘আমাদের সরকার আসার পর আমরা রাস্তা, পানীয় জলের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। ফলে মানুষের আর অভাব অভিযোগ নেই। তাই পালস পোলিওকে ঘিরে কোনও বয়কটের ঘটনা ঘটেনি কোনও গ্রামে। এই সরকার মানুষের দাবি পূরণের চেষ্টা করে যায়। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে।’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ দীপক সরকার বলেন, পালস পোলিও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার কথা জানা নেই। কালিয়াচক সহ বিভিন্ন এলাকায় সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি চলছে ।