অবতক খবর , জলপাইগুড়ি, ২৭ সেপ্টেম্বর :      খাবারের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে এসে নিজের আড়াই মাসের সন্তানকে ফেলে দিয়ে জঙ্গলে চলে গেলো মা। ছোট্ট হস্তিশাবককে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে বনদপ্তরে খবর দেন এলাকার বাসিন্দারা। অসহায় হস্তিশাবককে উদ্ধা করে, গরুমারায় তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বন দপ্তর।

শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার মানাবাড়ি চা-বাগানে ঢোকে ১১ টি হাতির একটি দল। ভোরবেলায় হাতির দলটি ভুট্টাবাড়ি জঙ্গলে ফিরে গেলেও, ছারা পরে যায় আড়াই মাসের হস্তীশাবকটি।

আজ সকাল থেকে বাচ্চা হাতিটি চাবাগানের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে হস্তীশাবকটি। এলাকায় হস্তীশাবক আটকে পরার খবর মুখে মুখে ছড়িয়ে পরে। হাতির বাচ্চাটিকে দেখতে প্রচুর ভীড় জমে যায় এলাকায়। খবর পৌঁছয় বন দপ্তরের কাছেও।

ঘটনাস্থলে পৌঁছন মালবাজার, তারাঘেরা এবং নোয়াম রেঞ্জের বনকর্মীরা। ভীড় সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালবাজার থানার পুলিশও।হস্তীশাবকটিকে উদ্ধার করে গরুমারায় নিয়ে যায় বনদপ্তর।সেখানেই এখন স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে হস্তীশাবকটির।হস্তীশাবকটি পুরুষ বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।

পরিবেশপ্রেমী নফসর আলি জানিয়েছেন, রাতে খাওয়ারের খোঁজে জঙ্গল থেকে বেরিয়েছিল হাতির দলটি। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই জঙ্গলে ফিরে যায় হাতির দল। সেই সময় কোনভাবে দলছুট হয়ে চা-বাগানের ভেতরেই আটকে পরে বাচ্চা হাতিটি।

অন্যদিকে, জঙ্গলের বন্যপ্রাণীদের নিয়মে কোন হস্তীশাবক একবার মানুষের সংস্পর্শে চলে আসলে, তাকে আর সাধারণত দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় না। তবুও দলছুট হস্তীশাবকটিকে তার মার কাছে ফিরিয়ে দিতে, মা হাতির খোঁজে অভিযানে নেমেছে বনদপ্তর। অন্যদিকে, হস্তীশাবকটিকে তার মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে, গরুমারাতেই বনদপ্তরের অন্যান্য হাতিদের সঙ্গে এই শিশু হাতিটিকে রেখে তাকে কুনকির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।