অবতক খবর,২৭ সেপ্টেম্বর: বীজপুর অঞ্চলে অর্থাৎ কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ নীতিকে সামনে রেখে এই পর্যন্ত পাঁচটি বিশাল বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর জুড়ে। এই সমস্ত বিক্ষোভ সভায় জেলা এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমস্ত সভার কয়েকটিতে কাঁচরাপাড়ার সুপরিচিত তৃণমূল কর্মী রাজা সরকারকে দেখা গেলেও ২৬ সেপ্টেম্বর শ্রী লক্ষ্মী সিনেমার সামনে যে বিশাল বিক্ষোভ সভা আয়োজন করা হয়েছিল যাতে বক্তব্য রেখেছেন সমস্ত স্থানীয় নেতা এবং নেতৃবৃন্দ কিন্তু সেই সভায় রাজা সরকার গরহাজির ছিলেন এবং মলয় ঘোষ বিগত সভা গুলিতে উপস্থিত না থাকলেও গতকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন। নাকি আদেও এদেরকে মিছিল মিটিংয়ে ডাকা হচ্ছে না। তবে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ লক্ষ্য করেছেন যে, তিনি অল্প সময়ের জন্যই মঞ্চে ছিলেন, তারপর তিনি চলে যান। ফলত এই দুই কর্মী তৃণমূল নেতৃত্তের সন্দেহের চোখে পড়ে যান।
আজকে তৃণমূলের যে বিশাল জনজমায়েত তাতে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, ব্যারাকপুর বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত,বীজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী এবং রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঁচরাপাড়ার অন্যতম তৃণমূল নেতৃত্ব সুদামা রায়,মাখন সিনহা, অশোক তালুকদার, সোনালী সিংহ রায় এবং হালিশহরের নেতৃবৃন্দ। ফলত আজকের এই বিশাল সভার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এখানে দলীয় কর্মীরা কারা সত্যই তৃণমূল করেন তার একটি প্রমাণ দেবার সুযোগ ছিল। কিন্তু এই দুই কর্মী সন্দেহের চোখে পড়ে গেলেন বলে রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।