অবতক খবর,সম্পা ভট্টাচার্য ,জলপাইগুড়ি:- করোনা উত্তরকালে গ্রামীণ বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে পর্যটন শিল্পকে চলতে হবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এমটাই বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার মাল পৌরসভার সভাকক্ষে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যাবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা করোনা উত্তরকালে পর্যটন ব্যবসা কিভাবে চলবে তানিয়ে নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করেন।
উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের পর্যটন দপ্তরের অধিকারিক সায়ক নন্দী,পর্যটন বিশেষজ্ঞ রাজ বসু, সম্রাট সান্যাল, মাল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সমর কুমার দাস, সিকিমের পর্যটন ব্যবসায়ী রবীন বাসনেত সহ ডুয়ার্স ও পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।করোনা আবহে লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় ডুয়ার্স ও পাহাড়ের সমস্ত লজ ও রিসোর্ট। বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন ব্যবসাও। এই ব্যবসার সাথে জড়িত বহু মানুষ কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এদিকে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হতেই আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে ডুয়ার্সের লজ ও রিসোর্ট গুলি। পাহাড়ের সব রিসোর্ট এখনো খোলেনি। এই পরিস্থিতিতে পর্যটন ব্যবসা কিভাবে চলবে তানিয়ে এদিন আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন আধিকারিক সায়ক নন্দী বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে উপযুক্ত স্যানেটাইজ করে ব্যবস্থা নিলে পর্যটকরা আসবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবেই চলতে হবে। আস্তে আস্তে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সম্রাট সান্যাল বলেন, সামাজিক দুরত্ব কথাটা ঠিক নয়, শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে গ্রামীণ বিকাশের কথা ভেবে পর্যটন ব্যবসা চালাতে হবে।রাজ বসু তার ভাষনে বলেন, পর্যটকরা এসে খাওয়া দাওয়া করে ঘুরে চলে গেলেই হবেনা। এভাবে পর্যটনের বিকাশ সম্ভব নয়। বর্তমান সময়ে আমাদের লক্ষ্য পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ বিকাশ। পর্যটনের সাথে সাথে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ হবে এই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের চলতে হবে।