অবতাক খবর, সংবাদদাতা :: মনিষ শুক্লা শুটআউট মামলার জট একে-একে করে খুলতে শুরু করে দিয়েছে সিআইডি। খুনের 12 ঘণ্টার মধ্যেই সিআইডি দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এলাকার ব্যবসায়ী খুররম খান এবং এলাকার সেয়ানা গুলাপ শেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই অনেকগুলোই তথ্য সামনে উঠে আসে। তারপরে দু’জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
এই দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিআইডি আরেক খুনের ঘটনা লিংক মেন নাজির খানকে গ্রেফতার করে । সি আই ডি সূত্র অনুযায়ী নাজির খান এই মনিষ শুক্লার সমস্ত তথ্য খুনিদের হাতে তুলে দিয়ে ছিল। এই নাজির খান থেকেই পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সুবোধ যাদব কে সিআইডি গ্রেপ্তার করে সুবোধ খুনিদের থাকা-খাওয়ার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বলে জানা গেছে।
টিটাগর পৌরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুবোধ যাদব, এই আততায়ীদের দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির দোতলায় থাকার ব্যবস্থা করেছিল। 4 নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট বাড়ির দোতলায় চারজন শুটারদের রাখা হয়েছিল। তারা মনিষকে খুনের জন্য ,এই বাড়িতে বসেই সমস্ত রকম ছকও ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছিল বলে জানা গেছে। নাজির খান শুটারদের জন্য রেকি করে এবং মনিষ কোথায় যায় কোথায় কতক্ষণ বসে মনীষের সঙ্গে কারা কারা থাকে কতক্ষণ থাকে, সে কোথায় একা যায়, কখন বাড়ি থেকে বের হয়, প্রত্যেকটি খবর ও তথ্য এই শুটারদের হাতে তুলে দেয় নাজির খান।
সূত্র জানাচ্ছে যে নাজির ও সুবোধের সঙ্গে এই খুনিরা রাতের অন্ধকারে বেরিয়ে এলাকার পরিদর্শন ও করত। সূত্রে আরো জানা গেছে যে সুবোধের কাছে যে যাদের মারফত এই চারজন শুটার এসেছিল সেই লিঙ্ক মেনকে cid ট্রেপ করে নিয়েছে। আর এই ব্যক্তি হাতে আসতেই সমস্ত জোট ব্লুপ্রিন্ট একেবারে সামনে চলে এসেছে।
শুধু তাই নয় সূত্র জানিয়েছে যে, যে অস্ত্র দিয়ে মনিষকে খুন করা হয়েছিল সেই অস্ত্র ইতিমধ্যে সিআইডি উদ্ধার করে নিয়েছে। এছাড়া সেই বাইক টাও উদ্ধার করা হয়েছে যেটি করে খুনি, খুনের পর পালিয়ে ছিল । জানা গেছে সেই বাইকটি সোদপুর রেল স্টেশনের পাস থেকে উদ্ধার করেছে সিআইডি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিআইডির সূত্রের খবরঅনুযায়ী মনিষ হত্যা তে একাধিক বাইক ব্যবহার করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় ঘটনাস্থলের পাশেই নাজির খানকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছিল। তাই সিআইডির কাছে এটি এখনো পরিষ্কার হয়নি যে নাজির খান শুধুমাত্র রেকি করেছিল নাকি খুনের জন্য নিজে গুলিও চালিয়েছিল।
টিটাগড এ এক বিজেপি নেতা জানান যে টিটাগড এলাকায় গত দু তারিখ থেকে 5 তারিখ খুনের দিন পর্যন্ত, বাইরের সেয়ানাদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছিল। তিনি দাবি করেন যে এলাকার সব সেযানারা বুঝতে পেরেছিল যে কিছু একটা বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে কিন্তু মনিষ শুক্লা এত টাই বেশি ওভার কনফিডেন্ট হয়ে গেছিলেন যে তিনি কোনো পরোয়া করেননি। বিজেপির নেতার দাবি, মনিষ শুক্লা তার ক্ষমতার জোরে তার আশেপাশে বাইরের ছেলেগুলোকে আনাগোনা করতে দেখেও কোন কিছুই পরোয়া করেননি।
টিটাগডের এক বিজেপি নেতার দাবি গত 2 ও 5 তারিখ তৃণমূলের মিছিল হয় এই মিছিলে কামারহাটী ও রিষডার কয়েকজন সেয়ানাদের দেখা গেছিল। তিনি বলেন যে এই মিছিলে ঢুকে খুনিরা সম্ভবতঃরা সম্পূর্ন এলাকা ঘুরেছিল। সূত্র জানাচ্ছে যে কামারহাটী র ডন কে নাজিরের সঙ্গে 2 দিন এলাকায় দেখা গেছিল। যদিও নাজির কে জিজ্ঞাসাবাদ করে cid সমস্ত তথ্য ও তার খুনিদের সঙ্গে জুড়ে ফেলেছে বলে জানা গেছে। তাই সম্ভবতঃ আর 2 দিনের মধ্যেই খুনের রহস্য cid পরিষ্কার করে দিতে চলেছে।