অবতক খবর,১২ অক্টোবর: গতকাল কাঁচরাপাড়ার বুকে অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের ঐতিহাসিক মিছিল। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি এবং কৃষি বিলের বিরুদ্ধেই এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বীজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী। তাঁর নেতৃত্বেই এই ঐতিহাসিক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিগত দিনগুলোতে দেখা গেছে, মানুষের মধ্যে একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল যে, বীজপুরে আদেও কি তৃণমূলের কোন সংগঠন আছে? কারণ মানুষের মনে হতে শুরু করেছিল যে দলটি যেন ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। না ছিল কোন মিটিং মিছিল, না ছিল কোন কর্মীসভা। আর যাও হত তাতেও অংশগ্রহণ করতেন হাতেগোনা কয়েকজন কর্মী। আমরা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলাম এবং কিছু নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তখন তারা একটাই কথা বলেছিলেন এই করোনা কালে তেমনভাবে কোন মিটিং মিছিল আয়োজন করা যাবে না। কারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

কিন্তু গতকাল সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এই মিছিল প্রমাণ করে দিল যে তারা এখনও ক্ষমতায় রয়েছে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী,কমল অধিকারী সহ হাজার হাজার কর্মী সমর্থকরা। বিকেল চারটেয় থানার মোড় থেকে,কাঁচরাপাড়ার রাজপথ ধরে এই মিছিল এসে শেষ হয় বাগমোড়ে।

তবে এই মিছিলে এমন অনেক নেতাদের হাঁটতে দেখা যায় যাদের এতদিন দেখাই মেলেনি। ফলত সকলে এটা ধরেই নিয়েছিলেন যে,তারা সম্ভবত বিজেপিতেই যোগদান করবেন। কিন্তু না, গতকাল এই সব ধারনাই ভুল প্রমাণিত হল।

বিশেষ করে বীজপুরে একজনকে নিয়ে বেশ হইচই পড়েছিল। তিনি হলেন হালিশহর পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান অংশুমান রায়। পৌর প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ইদানিং তাকে কোথাও দেখাই যায়নি। সেই কারণেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা রকম জল্পনা কল্পনা। কিন্তু এই অংশুমান রায়কেও গতকালের এই ঐতিহাসিক মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় এবং তিনি প্রমাণ করেন যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী। এই মিছিলে তিনি পায়ে পা মিলিয়ে জনসংযোগ করেছেন এবং মানুষের মন থেকে বিভিন্ন সংশয় দূর করেছেন। ‌