অবতক খবর,১ নভেম্বর: বীজপুর থানার অন্তর্গত বালিভারা ঝিলপাড়া অঞ্চলে কিছুদিন আগে বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সেই দু’জন বিজেপি কর্মী হলেন পরেশ সাউ এবং জয়ন্ত দাস। ফলত অঞ্চলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এদিকে জয়ন্ত দাস এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, তার উপর তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হয়, মারধর করে এবং তাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
বর্তমানে এই রাজনৈতিক উত্তেজনা যাতে না বাড়ে সেইজন্যই বীজপুর প্রশাসন ওই অঞ্চলে পুলিশ পিকেট বসিয়েছে এবং মাঝেমধ্যেই পুলিশ পেট্রোলিং চলছে। আইসি ত্রিগুণা রায় বিষয়টি নিজেও দেখভাল করছেন। অর্থাৎ উত্তেজনা প্রশমিত করার কারণে পুলিশের নজরদারি রয়েছে।
ইতিমধ্যেই নিমাই দাস নামে এক বিজেপি কর্মী অভিযোগ করেন যে, তার বাড়িতে তৃণমূল কর্মীরা ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে যে, পুলিশ-পিকেট স্বত্ত্বেও কি করে এই ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত করে দেখেছে। ওটি বেড়ার বাড়ি এবং মাত্র দুটো টালি ওখান থেকে ভাঙ্গা অবস্থায় তারা দেখেছে। তাদের প্রশ্ন পুলিশ পিকেট থাকা সত্ত্বেও কার এত দুঃসাহস হলো যে এই টালি ভেঙেছে এবং বাড়িঘরের আর কোনো ক্ষতি হয়নি যেমন বেড়ার দরমার কোনরকম ভাঙচুর অবস্থা দেখা যায়নি। বাড়িতে সাইকেল ইত্যাদি সামগ্রী তছনছ অবস্থায় তারা দেখতে পাননি।
প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, এই অঞ্চলটি বর্তমানে শান্ত অবস্থায় রয়েছে। এই অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি কর্মীরা। এতদিন এই অঞ্চলে কোন গণ্ডগোল হয়নি। অথচ এই অঞ্চলটিকে একটি আইন শৃংখলার অবনতিতে পরিস্থিতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। কারণ সামনে নির্বাচন। এই নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করেই এলাকাকে অশান্ত করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীদের ধারণা।
পুলিশও জানিয়েছে, যে নিমাই দাসের অভিযোগ মিথ্যা। এটা হয়তো তাদের দলের কেউ বা তিনি নিজে করে বিরোধীপক্ষের নাম দিতে চাইছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা নজরদারিতে রয়েছেন। এলাকা যাতে শান্ত থাকে সেদিকে তারা লক্ষ্য রাখছেন।