অবতক খবর , সংবাদদাতা , বারাসাত :: এটিএম জালিয়াতির নতুন পদ্ধতির পর্দা ফাঁস।ঘটনায় গ্রেফতার মূল পান্ডা সহ তিন।গ্রেফতার করলো নিউটাউন থানার পুলিশ।নিউটাউন বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।আজ তাদের বারাসাত কোর্টে তোলা হয় ।এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১৫ টি এটিএম কার্ড,১০ টি সিম কার্ড।
পুলিশ সূত্রে খবর ,তারা সূত্র মারফত খবর পায় যে নিউটাউন বাস স্ট্যান্ডে ৩ জন যুবক বসে তাদের মোবাইলে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে সন্দেহ জনক কিছু কাজ করছে।এবং কিছুক্ষন পর পর কিছু যুবক এসে এটিএম কার্ড দিয়ে যাচ্ছে।সেই খবর পেয়ে পুলিশ হানা দিয়ে তিনজনকে ধরে তাদের পরিচয় ও কি কাজ করছে জানতে চাইলে তারা বলতে অস্বীকার করে।এর পর তাদের থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের প্রতারণার কাজের কথা ও পরিচয় জানায়।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে যে এই প্রতারকরা বিভিন্ন গরিব মানুষের এলাকায় লোকাল ছেলেদের দিয়ে সরকারি টাকা পাইয়ে দেবে বলে গরীব মানুষদের কাছ থেকে তাদের এটিএম কার্ড ও পাসওয়ার্ড নিয়ে নিত।তার বিনিময়ে প্রথমে কিছু টাকা তাদের দিত।এর পর তারা বিভিন্ন মানুষকে ব্যাংকের কর্মী ও ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ফোন করে ব্যাংক একাউন্ট আপডেট করতে হবে বলে ওটিপি জেনে নিয়ে সেই টাকা ওই কালেক্ট করা এটিএম এর একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিত।যেহেতু ওই এটিএম কার্ড ও তার পাসওয়ার্ড তাদের কাছে ছিল সেই কারণে তাদের ওই একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে অসুবিধা হতো না।
এই চক্রের এই বুদ্ধিতে প্রতারণার ফলে অতি সহজেই তারা বেঁচে যেত।কারণ এদের একাউন্টে কিছুই কাজ হতো না।ফলে প্রতারক হিসাবে যার এটিএম কার্ড ব্যবহার হতো তারই হতো।আসলে তারা কিছুই জানতো না।ধৃত তিনজন হলো মায়াঙ্ক দিদওয়ানিয়া। মায়াঙ্ক মূল পান্ডা, বাড়ি রাজস্থানে। বাগুইআটি তে বসে থেকে এই চক্র চালাতো।তার দুই সহযোগী হলো অভিজিৎ সরকার ও শ্যামসুন্দর বিশ্বাস এরা দুজনই নিউটাউনের বাসিন্দা।