অবতক খবর, সংবাদদাতা, মছলন্দপুর, উত্তর 24 পরগনা :: সোমবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মছলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সাদপুর যোগশ্রী ক্লাবের পাশে হানা দিয়ে অস্ত্রসহ চারজন দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ওই দুষ্কৃতীদের নাম রিপন ব্যাপারী (৩২), রঞ্জিত রানা (৪০), কৃষ্ণ হালদার (৩৪), প্রধান ভট্টাচার্য (৫২)। ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া যায় একটি দেশি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি, ১টি হাঁসুয়া, ১টি ভোজালি, ১টি লোহার রড।

ওইদিন মছলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রের আধিকারিক চিন্তামণি নস্করের কাছে আনুমানিক রাত ১২টা নাগাদ খবর আসে সাদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন লোক সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছে। এরপরই চিন্তামণিবাবু এবং সহ আধিকারিক অমিতাভ ভৌমিক সহ পুলিশকর্মীদের নিয়ে দূর থেকে তাদের গতিবিধির উপরে লক্ষ্য রাখতে থাকেন। তারপর সময় সুযোগ বুঝে তাদের কাছে গেলে পালাবার চেষ্টা করে এবং হাতেনাতে অস্ত্রসহ তাদেরকে ধরে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

ধৃতের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিংবা ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃত রিপন ব্যাপারীর বাড়ি হাবরা বানীপুর ইতনা কলোনি, রঞ্জিত রানার অশোকনগর এজি কলোনী, কৃষ্ণ হালদারের অশোকনগরের শ্রমলক্ষী এলাকায় এবং প্রধান ভট্টাচার্যের বাড়ি অশোকনগর দক্ষিণপল্লীতে।

উল্লেখ্য, একসময় মছলন্দপুর এলাকা ছিল দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। রাতের বেলা মানুষজনের চলাফেরাও ছিল ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থা। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। চিন্তামণি নস্কর ও তাঁর অধঃস্তন কর্মীরা গোবরডাঙ্গা থানার আধিকারিক উৎপল সাহার সুযোগ্য পরিচালনায় দুষ্কৃতীদের অবাধ চলাচলকে আটকে দেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে আগের সেই ভীতি বদলাতে শুরু করে। জনসাধারণ পুলিশের ভূমিকায় আশার আলো দেখছেন। অবশ্য কোনও কোনও মহল থেকে আধিকারিকদের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার অন্তরাল-চেষ্টা চালাচ্ছে।