ভারতে চলছে এখন গো-গবেষণা। বহু গো-তথ্য আবিষ্কার করছে একটি রাজনৈতিক দল। জীববিজ্ঞানীরা রীতিমতো এই গবেষণার বিষয়ে তাদের কাছে পরাস্ত এবং পর্যুদস্ত।

হাম্বা
তমাল সাহা

নারু কহে, পুরাণে প্লাস্টিক সার্জারি ছিল
গণেশের মস্তকে হস্তির মাথা।
মহাভারতে টেস্ট টিউব বেবি ছিল
কুন্তীর কর্ণের ভিতরে কর্ণ শুয়েছিল
কুন্তীর কী অসহ্য ব্যথা!

ডিজিটাল যুদ্ধবার্তা ছিল মহাভারতে—
কুরুক্ষেত্রের ধারাভাষ্য শুনেছিল ধৃতরাষ্ট্র
সেন্টার বসানো ছিল সঞ্জয়ের মাথাতে।

দিলু বলে, নারুদা! তুমি হতে পারো জ্ঞানী
এসব প্রাচীন বিজ্ঞান আমিও কিছু জানি।

গোমাতার কুব্জে আছে স্বর্ণনালী
সূর্য সঙ্গমে গোদুগ্ধ হয় বর্ণে সোনালী।

সোনালী শুধু রঙ নয়, স্বর্ণ আছে তাতে
চন্দ্র সেন জুয়েলার্সরা স্বর্ণ কুড়ায় তাহা হতে।

সাধ্বী প্রজ্ঞা বলে,
তুমি নিয়মিত তিনবেলা গোমূত্র খাও।
সর্দি কাশি তো ছার, ক্যান্সার উধাও।

গোময় খাও যদি পরিশুদ্ধ হয় মন
সেই মনে দেশ বেচো পাপ হইবে না কখন।
তুমি হিমালয় গিরিও বেচিতে পারো
নাম হইবে তখন তোমার গিরি গোবর্ধন।

অরণ্য বেচিয়া দাও—
শুনিতে পাইবে না কোনরূপ ক্রন্দন।
পুস্তক হইতে বিতাড়িত সেই প্রবাদ
তখন— অরণ্যে রোদন।

শোনো দাদা! দেশি গোরুকে গোমাতা বলে
বিদেশি গরুকে বলে আন্টি।
কবে থেকে দেশি মেয়েরা জাঙ্গিয়া পরে
বিদেশি মেয়েরা বলে প্যান্টি।

দিলু বলে, দিকে দিকে এখন আমরা সবল
গোকে কেন্দ্র করেই আমরা এতো বড় দল।
দিকে দিকে কেন আমাদের এতো রবরবা?
আমরা আছি,এ কথা শিখিয়েছে কে?
গোরুরা সব ডেকে ওঠে, হাম্-বা!হাম্-বা!

গোবেচারা গরুরা চেয়ে থাকে,
গর্বে তাদের বুক ফেটে যায়।
এরা আমাদের পেটের বাচ্চা!
হারিয়ে গিয়েছিল কোথায়?