অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :- ফি বছর শীত পড়লেই হাজার হাজার পরিযায়ী আসে পাখি সাতরাগাছি ঝিলে। এই ঝিলের পাশেই সাতরাগাছি রেল ইয়ার্ড। এই ইয়ার্ড থেকেই প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে জঞ্জাল জমা হয় ঝিল সংলগ্ন এলাকায়। গত কয়েকদিনে এই জমে থাকা জঞ্জালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দূষণমাত্রা বাড়ছে বলে অভিযোগ। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, এই অগ্নিকাণ্ডর ঘটনায় পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে তারা ঝিল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, এই ব্যাপারটি তারা খতিয়ে দেখবেন।
প্রতি বছর শীত পড়লেই হিমালয়ের পাদদেশ এবং সাইবেরিয়া থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি জড়ো হয় সাতরাগাছি স্টেশন লাগোয়া ঝিলে। ৩৩ একর এই ঝিলে লেসার হুইসেল বার্ড, গার্ড ওয়াল, পিনটেল, সোভেল , নাকটা সহ একাধিক প্রজাতির পাখি আসে। পাখি প্রেমীরাও ভিড় জমান পাখি দেখতে। কিন্তু গত কয়েকদিন দেখা যাচ্ছে ঝিলের কাছেই রেল ইয়ার্ডের যাবতীয় জঞ্জাল পুড়ছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেল ইয়ার্ড থেকে ঝিলের কাছেই ট্রেনের যাবতীয় আবর্জনা ফেলেন রেল কর্মীরা। আগুন জ্বালানো হয় সেগুলিতে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। দিন রাতে জ্বলছে এই আগুন।
পরিবেশবিদ এবং এলাকার মানুষের অভিযোগ, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাড়ছে দূষণ। আগুন এবং ধোঁয়ায় আতঙ্কিত পাখিরা ঝিল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত আজ ঝিল পরিদর্শনে যান। তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই জাতীয় পরিবেশ আদালতে এই নিয়ে একটি নতুন মামলা করবেন।
তিনি জানিয়েছেন, সাতরাগাছি ঝিলকে বাঁচাতে আগেই তিনি পরিবেশ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের একগুচ্ছ নির্দেশও আছে কিভাবে ঝিল রক্ষণাবেক্ষন করা যায়। কিন্তু যেভাবে আগুন জ্বলছে তাতে পাখিরা আতঙ্কিত হয়ে মুখ ফেরাতে পারে। এদিকে দক্ষিণপূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, পরিবেশবিদদের অভিযোগ তারা খতিয়ে দেখবেন।