অবতক খবর,১ ফেব্রুয়ারি: পিকনিক, বনভোজন, চড়ুইভাতি। শীতকালের যেটি একটি বিশেষ উৎসব,গেট টুগেদার যাকে আমরা বলে থাকি, মেলামেশার একটা আনন্দময় উৎসব। সেই উৎসব এখন রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত হয়েছে। সেই উৎসবকে এখন নির্বাচনী দখলদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। যুব সম্প্রদায়কে নিজের দলে ধরে রাখার জন্য কল্যাণী, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে দেখা যাচ্ছে নৈশ পিকনিক। সেখানে থাকছে চরম আনন্দের ব্যবস্থা। নাচগান তো থাকছেই,ডিজে বাজছে। খাওয়া দাওয়ার অফুরন্ত উপকরণ। কোথাও বিরিয়ানি, কোথাও চিকেন চাপ,কোথাও মাছ-মাংস সহযোগে ভাত পুরোদমে চলছে।

নির্বাচন আসন্ন, দলীয় কর্মীদের ধরে রাখার জন্য এই রাজনৈতিক পিকনিকে নেমে পড়েছে বিশেষ করে তৃণমূল দল এবং বিজেপি দল। বর্তমানে এই বিজেপি এবং তৃণমূল দল মিলে একটি নতুন রাজনৈতিক সংজ্ঞা পেয়েছে বিজেমূল দল। কল্যাণীতে বিজেপির নেতৃত্বে মহিলাদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে কাঁচরাপাড়া ৭,৮,১৮,২০,২২ নম্বর ওয়ার্ডে সহ অন্যান্য ওয়ার্ডে,অন্যদিকে হালিশহরের ৩,৫,২২ নং ওয়ার্ড সহ আরো বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড নৈশ পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই যুবদের কাজে লাগানো হবে। সেই জন্যই তাদের এই আনন্দ ফুর্তির মধ্যে মজিয়ে রাখা হচ্ছে।

এদিকে জনসাধারণের প্রশ্ন,এই যে ব্যাপক পিকনিক হচ্ছে এর খরচ আসছে কোত্থেকে? এর আয়ের উৎস কি? কি করে রাজনৈতিক মদতে এই খানাপিনা গানা চলছে? এটা জনগণের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।