বঙ্গ রাজনীতিতে এখন মুখোশে ঢাকা মুখের ঢল।
সঙ্গে জ্ঞানবাজি, অন্যদিকে
কামাইবাজির ফন্দিতে অটল।
মুখ ও মুখোশ
তমাল সাহা
মুখ থাকে নিচে,
মুখোশের গুরুত্ব বেশি।
তাই মুখোশ থাকে মুখের উপরে।
আমি ভেবে ভেবে কথা বলি
সুযোগ বুঝে চুপ থাকি।
দেশ যখন তপ্ত
তখন নিদ্রা যাই মধ্যাহ্ন দুপুরে।
আমি খুব সামাজিক
আজান নামাজকে সম্মান করি
দুর্গা ভাসানযাত্রা স্থগিত কেন প্রশ্ন তুলি না
যদি হয়ে যাই সাম্প্রদায়িক!
আমি নরমেধ যজ্ঞ দেখে উত্তেজিত গুজরাতে
গাঙ্গেয় পারে পঞ্চায়েতে খুন আমি ভুলে যাই।
শঙ্খ ঘোষকে বাংলার বিবেক বলি,
সাহস জোগাই।
ততক্ষণে টঙ্কা নিতে নবান্নে চলে যাই।
হাথরসে ধর্ষণ, দিল্লিতে নির্ভয়া
তাপসী মালিক,সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে আমার যত প্রতিবাদ। প্রাদেশিক সীমান্তজুড়ে কৃষক সংগ্রাম–
কবিতা লেখা কি ভালো?
সে তো হয়ে যাবে রাষ্ট্রবিরোধী জেহাদ!
কামদুনি মধ্যমগ্রাম পার্কস্ট্রিট
ছোট্ট ঘটনা
তখন আমি মূক বধির অন্ধ। ঘাড়ে হাত দিয়ে দেখি শাসক কেটে নিয়েছে গলদেশ, আমি কবন্ধ।
আমি বাংলাকে ভালোবাসি। শিক্ষক, বেকারের কর্মসংস্থান কাটমানি, পাথর-কয়লা-বালি খাদান
আরো কত কী রাশি রাশি !
আমি নিশ্চুপ
আমি সততার প্রতীক ভালোবাসি।
আমি শাসকের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাই
ক্যা ক্যা ধ্বনিতে দালালিতে সাহসী।
আসলে আমরা শ্মশ্রুবান রবীন্দ্রনাথ কিন্তু নয়া ভন্ড। আমরা মুখ আর মুখোশের কথা বলি
আমরা কী ভালো!
শাসক তোষামুদে সমাজিক পাষণ্ড।