অবতক খবর,২১ মার্চ: কাঁচরাপাড়া এখন ক্লাব রাজনীতির দখলে। যে নেতার অধীনে যত ক্লাব,সেই ক্লাবের ভেতরেই তত বেশি ‘ইনক্লাব’। যে দল যত ক্লাব দখল করতে পারবে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি তার অনুকূলে যাবে এমনই নেতাদের ধারণা। ফলে তারা সেই বাম রাজত্বের আমল থেকে এই দক্ষিণপন্থী তৃণমূল শাসকের আমলে পর্যন্ত সেই নীতি বহন করে আসছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তথাকথিত বামপন্থী রাজনীতির ঐতিহ্য বহন করছে দক্ষিণপন্থী দল।
কাঁচরাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন নবজীবন ভাতৃ সংঘ যেটি সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল যার পরিচালনা ছিল সিপিএম সদস্যদের হাতে, তা শেষ পর্যন্ত চলে আসে তৃণমূলের দখলে। সেই ক্লাবটি অর্থাৎ তৃণমূল যে ক্লাবটি এতদিন দখলীস্বত্ব ভোগ করছিল সেই ক্লাবটি বর্তমানে সিপিএমের অধীনে আবার চলে এসেছে। দেখা যাচ্ছে সেখানে সিপিএমের লাল পতাকা শোভা পাচ্ছে।
কাঁচরাপাড়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমনই। দলবদল তো ক্লাব বদল। তবে বর্তমানে তৃণমূল দল বিরোধীদলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘর্ষ এড়িয়ে যেতে চাইছে,ফলত তারা একটু উদার মনোভাবাপন্ন হয়েছেন বলে কাঁচরাপাড়ার অধিবাসীদের মত। তাই এই ক্লাবটির দখলিস্বত্ব ছেড়ে দিয়ে তারা আবার সিপিএমের হাতে তুলে দিয়েছে বলে রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য,ওই ক্লাবের পুরনো সিপিএম নেতারা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছে ওই ক্লাবের চাবি চেয়েছিলেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, সিপিএমের প্রধান প্রধান ক্লাবগুলি তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এই কথা জানতে পেরেই তারা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ক্লাবের চাবি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।