অবতক খবর,১১ এপ্রিল: কুচবিহার জেলার শিতলকুচিতে ভোট দিতে গিয়ে সিআরপিএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৪ জন ভোটার। গুলিবিদ্ধ আরো ৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার দিনেই হালিশহর সবুজ সংঘ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং সারা রাজ্যব্যাপী আজ অর্থাৎ ১১ই এপ্রিল বিকেল ৪টের সময় ধিক্কার মিছিলের নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী হালিশহর সহ বীজপুরের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং নেতৃত্বরা রাস্তায় নেমে মুখে কালো কাপড় এবং জামায় কালো ব্যাজ লাগিয়ে ধিক্কার মিছিল করে। অনেক জায়গায় মিছিল শেষে সংঘটিত হয় বিক্ষোভ সভা এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন হালিশহরের বুদ্ধিজীবী মহলও। শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে নিহত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
মিছিল থেকে নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতাকে ধিক্কার জানানো হয়। একই সাথে এই ঘটনার জন্য অমিত শাহের পদত্যাগ দাবী করা হয়।
প্রসঙ্গত,গত ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে যখন বিজেপি আশ্রিত গুন্ডা বাহিনী তান্ডব করেছিলো, তখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তৃণমূল কর্মীরা সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষকে।
এই মিছিলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতন বার্তা দেওয়া হয় যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই অত্যাচার যেকোনো মানুষের উপর নেমে আসতে পারে।
এই গুলি চালানোর ঘটনার কিছুদিন আগেই হুগলিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও নির্বাচন কমিশন সেই বিষয়কে ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছেন।
হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া জুড়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একই সময়ে সংঘঠিত হওয়া এই বিক্ষোভ মিছিল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বলেই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বেরা।