অবতক খবর,১২ এপ্রিল: গত ১১ই এপ্রিল বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী সুকান্ত রক্ষিতের সমর্থনে পথসভার আয়োজন করা হয় হালিশহর নবনগরে।
উক্ত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্য এবং কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা আব্দুল মান্নান।

তাঁরা সুকান্ত রক্ষিতের সমর্থনে বিভিন্ন বক্তব্য রাখেন। কেন বীজপুরে তাঁকে প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন। এছাড়াও দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁরা মানুষকে অবগত করেন। তৃণমূল ও বিজেপি সরকার বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য তাঁরা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। মূল্যবৃদ্ধি,শিক্ষা,কর্মক্ষেত্রের হাল ফেরাতে যে ফের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের প্রয়োজন তাঁরা তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন জনগণকে।

তাঁরা বলেন,”এ লড়াই শুধু তৃণমূল বা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই নয়,এই লড়াই গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই। সিপিএমের ৩৪ বছর শাসনকালে দুর্নীতি মুক্ত ছিল বাংলা। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য তথা দেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। আজ দীর্ঘ বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি চলছে। কেন? এই সরকার শুধু মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে চলেছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা চলছে। নির্বাচন রাজনৈতিক সংগ্ৰাম। যে সাংগঠনিকভাবে দক্ষ, যে আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে, আমরা তাকেই ভোট দেবো।

ভোটের আগে এই দুই সরকারের পক্ষ থেকে এত প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছে যে তার হিসেব রাখা মুশকিল কিন্তু একটি প্রতিশ্রুতিও তারা পূরণ করতে পারছেন না। এই তৃণমূল সরকার চিটফান্ডের নামে মধ্যবিত্তদের শেষ করে দিয়েছে। মোদীজি বলেছিলেন, প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেবো, দু’কোটি চাকরি দেবো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে কি? এই অতিমারির সময়ে মধ্যবিত্তরা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছেন। ভারতবর্ষের ৩৩ ভাগ মধ্যবিত্তকে দারিদ্র্যসীমার নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ, খুব খারাপ। তাহলে কি আপনারা আদানি আম্বানিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না? কৃষকরা যে সংগ্রাম করছে সেটা কিসের জন্য করছে?

তারা সংগ্রাম করছে আমার আপনার ভাত নিশ্চিত করার জন্য। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের কথা আপনারা সবাই জানেন। সেই সময়ে খাদ্য মজুদ ছিল কিন্তু মানুষের কেনার ক্ষমতা ছিল না। আজকে মোদীজি সেইদিকেই দেশটাকে চালনা করছেন। শীতলকুচি ঘটনার দায় কারোর একার নয়। এই দুই দলের উস্কানিতেই একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের চারজন মানুষ খুন হয়েছেন। ধর্মীয় বিভাজন করে রাজনীতি করছে এই দুই দল। তারা চাইছে মানুষ ধর্ম নিয়েই মেতে থাকুক। বাম জমানায় কিন্তু ধর্ম রাজনীতি মাথা চাড়া দেয়নি। সুতরাং দেশের হাল ফেরাতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের দিকে দিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।”