অবতক খবর,১৩ এপ্রিল: গত ১০ই এপ্রিল শীতলকুচির ঘটনা সম্পর্কে অবগত সকলেই। ভোট দিতে গিয়ে সিআইএসএফ-এর গুলিতে ৫টি তরতাজা প্রাণ চলে যায়। এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে দুই দলের মধ্যে চাপানউতোর। যার জন্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠরোধও করেছেন।
এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। আজ সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায় বীজপুরের কিছু বিজেপি কর্মী একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে একটি ভোট কেন্দ্রে সিআইএসএফ এবং আম জনতার মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই ভিডিওর উপরে লেখা এটা নাকি শীতকুচিতে গুলি চলার আগের ঘটনা।
কিন্তু ভিডিওটি যাচাই করে দেখা গেছে যে,আজ থেকে প্রায় একবছর আগে আসামের মণিপুরে একটি ভোটকেন্দ্রের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তাতেও সেই একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ দুটি ভিডিও এক। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, মণিপুরের সেই ভোটকেন্দ্রের ভিডিও বীজপুরের বিজেপি কর্মীরা শীতলকুচির ঘটনা বলে চালাচ্ছে। সেই ভিডিও দেখে প্রাথমিকভাবে যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়েছিলেন বীজপুরবাসী। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই সব পরিষ্কার হয়ে যায় সকলের সামনে। মানুষ বুঝে যায় যে পরিকল্পিতভাবে বিজেপি এই শান্ত বীজপুরে এই ভিডিওর মাধ্যমে একটা অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে।
এই বিষয়ে বীজপুরের তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন,”বিজেপি দাঙ্গাবাজ একটি দল। সর্বত্র শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকুক তারা সেটা চায় না। তারা চায় অশান্তি সৃষ্টি করতে। আর আজও পরিকল্পিতভাবে তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে এই ভিডিওর মাধ্যমে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা তো তাদের প্রত্যেকের একটা পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ বীজপুরে বিজেপি কর্মীরা যে ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে শেয়ার করে চলেছে তা থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, তারা প্রকৃতই একটি দাঙ্গাবাজ, সাম্প্রদায়িক দল। ভোটের আগে তারা একটা অশান্তির সৃষ্টি করতে চাইছে। এর পাশাপাশি তাঁরা তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত এবং কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ জানেন শীতলকুচির ঘটনাও একটা উস্কানিমূলক ঘটনা। বিজেপির এক উচ্চ নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনেই যে সেই ঘটনা ঘটেছিল তা মানুষের কাছে পরিষ্কার। আর আজও কারোর উস্কানিতেই এই ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কিন্তু মানুষের কাছে সবটাই এখন জলের মত পরিষ্কার। এতে যে বীজপুরের মানুষের কাছে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে তা তারা এখনো বুঝতে পারছেন না। এই সমস্ত কার্যকলাপের মাধ্যমে এরা মানুষের কাছে এখন হাসির পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।”