অবতক খবর,সংবাদদাতা :: গোটা দেশে ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার পেরিয়েছে। উদ্বেগ ও সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লি, রাজস্থান সহ মুম্বাই ও উত্তর প্রদেশে । সংক্রমনের তীব্রতা এতটাই যে মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু জায়গাতে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে নাইট কারফিউ। পরিস্থিতি এতটাই অবনতির দিকে যাচ্ছে তাতে রাজ্য জুড়ে নতুন করে লকডাউন করার ভাবনা চিন্তার প্রস্তুতি নিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। আর এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই রাজ্য থেকে রুটিরুজির সন্ধানে মুম্বাই পাড়ি দেওয়া পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
গতবারের লকডাউন চলাকালীন তারা যেভাবে হেনস্থা হয়েছিলেন। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তারা রাজ্যে ফিরছেন নিজেদের ব্যবস্থাপনায়। কাজের জায়গা ছেড়ে চলে এসে এই রাজ্যে তাদের কর্মসংস্থান কিভাবে হবে তাই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালেও। এর পাশাপাশি এই রাজ্যে ৮ দফার নির্বাচন চলাকালীন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ থাবা বসিয়েছে । প্রতিদিন বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা।
হাওড়া শহর ও গ্রামীণে করোনা সংক্রমণে বাড়ছে শোরগোল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা রাজ্যে প্রায় সাত হাজার ছুঁইছুঁই করছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে হাওড়া জেলাতেও মোট সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ২৬০০। , এখন হাওড়া শহর ও গ্রামীনে মহারাষ্ট্র থেকে ট্রেনে ফিরতে শুরু করেছে পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
পরিস্থিতি আরও জটিল হবে যখন অন্যান্য রাজ্য থেকেও আসতে শুরু করবে পরিযায়ী শ্রমিকেরা। রাজের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ রাজ্য ছেড়ে অন্যান্য রাজ্যে আছেন তাদের কর্মসংস্থানের জন্য। আর এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা রাজ্যে ফিরলে কিভাবে তাদের কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত করবে রাজ্য সরকার তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
ভিন রাজ্য থেকে আসলেও হাওড়া স্টেশনে দেখা গেল না আগের মতো থার্মাল গান দিয়ে তাদের পরীক্ষা করার বিষয়টি। গতবারের মতো যদি সংক্রমণ বাড়ে তাহলে দায়িত্ব কে নেবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।