নিজস্ব সংবাদদাতা : অবতক খবর : জলপাইগুড়ি :     ভোট মিটতেই রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু জলপাইগুড়িতে। এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাম না করে যুব তৃনমূল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিংহ। তৃণমূল নেতার বিলাস বহুল জীবন যাপন ও আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।

এদিন যুব তৃনমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জীকে নিশানা করে তার নাম না নিয়ে বলেন উনি বিলাসবহুল জীবন কাটান কি ভাবে। উনি একজন ” ব্রিফলেস লইয়ার ” তার কোনো পৈত্রিক জমিদারী ছিলো বলে আমরা জানিনা। তবে কিভাবে তিনি বিলাসবহুল জীবন কাটান? উনি যুব সমাজকে বিপথে পরিচালিত করছেন। উনি তোলাবাজি করেন। এই পরিস্থিতি আর চলবে না। আমরা নিজেরা কোনো দাদা গিরি করবোনা। আর কাউকে করতে দেবনা। এবার ব্যাপক ভোট পরেছে। মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছে। বেশি ভোট পরা মানেই সরকার বিরোধী। এই কেন্দ্রে বিজেপি জিতবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অপরদিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে যুব তৃনমূল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী বলেন জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী তৃতীয় হবে। হারবে জেনে উনি এখন হতাশায় ভুগছেন। উনাকে দেখে আমার করুনা হয়। আমি একজন এম কম এল এল বি। বিজেপি প্রার্থী যদি আমার বাবার একটি কুকুর আছে এই কথা ইংরেজিতে লিখতে পারলে আমি ওকালতি ছেড়ে দেব। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে প্রচুর বড় মামলার আমি ডিফেন্স লইয়ার। আমি হাইকোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর। আমি তোলাবাজি করি এটা বললে হবেনা। প্রমান করতে হবে। নইলে মান হানি মামলা করবো। শুভেন্দু অধিকারী অভিশেখ ব্যানার্জীকে তোলা বাজ বলেছিল। আর নারদা কান্ডে শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখা গেছে। আমি তৃনমুল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট। তাই বিজেপি কি বল্লো আমি সেই কথায় পাত্তা দেইনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।