নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর :    করোনায় আক্রান্ত ১০ জন রেলের কর্মী। এর জেরে পরিষেবাতে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই ১৮-২০ জন কর্মী নিয়েই পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করছেন কিচেনের সদস্যরা। সংস্থা সূত্রে খবর স্বাভাবিক সময়ে এই কিচেনে মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল ৬০ জন। তিনটি শিফটে চলতো কাজ। কিন্তু কোভিড সময়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে ফের চালু করা হয় আই আর সি টি সি পরিচালিত এই বেস কিচেন। এখন মাত্র এক তৃতীয়াংশ কর্মী নিয়েই চলছে পরিষেবা।

সম্প্রতি পরপর ১০ জনের কোভিড পজিটিভ হওয়ার কারণে চিন্তায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংক্রমিত কর্মীদেরকে হোম আইশলেশনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার পরে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই মিলবে কাজ করার ছাড়পত্র। কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে পরিষেবা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। কর্মী সংখ্যা ঠিক রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্য দফতরের কর্মী নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন তারা। আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে তাতে আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী সংক্রমিত হতেই পারে সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা। সেক্ষেত্রে আই আর সি টি সির পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য জায়গা থেকে কর্মী নিয়ে এসে পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হবে বলে সংস্থা সূত্রে খবর। পূর্ব রেলের এই বেস কিচেন থেকেই স্বাভাবিক সময়ে খাবার সরবরাহ করা হতো রাজফ্যানি, শতাব্দিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে। কিন্তু কোভিড-১৯ এর জন্য ট্রেনে খাবার দেওয়ার পরিষেবা আপাতত বন্ধ রেখেছে রেল। এখন শুধু জন আহারের মাধ্যমেই যাত্রীদের পরিষেবা দিচ্ছে বেস কিচেন।

এই প্রসঙ্গে হাওড়ার পূর্ব রেলের বেস কিচেনের ইউনিট ইনচার্জ বাবলু আইচ জানান কোভিডের কারণে ইতিমধ্যে তাদের বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০% এর বেশি। এখন কম লোক নিয়ে পরিষেবা চালু রাখাটাই একটা চ্যালেঞ্জ তাদের কাছে।