নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর : দক্ষিণ ২৪ পরগনা :      দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত জয়রামপুর মামুদপুরে বিশ্বনাথ ব্যানার্জীর যৌন লালসার শিকার তা নিজের পুত্রবধূ। নির্যাতিত গৃহবধূ জানায় যে দীর্ঘ লকডাউন এর সময় তার শ্বশুর তাঁকে ধর্ষণ করেন জোরপূর্বক ভাবে। তিনি তার স্বামী ও শাশুড়িকে সমস্ত বিষয়টি জানালে তারা সমস্ত বিষয়টিকে উড়িয়ে দেয় ও মারধর করতে থাকে এবং সুপর্ণা ব্যানার্জি জানান যে তাদের নাকি এটাই কালচার।

নির্যাতিতার স্বামী সমস্ত বিষয়টি জানার পর মদ্যপ অবস্থায় তাকে মারধর করতে থাকে। এছাড়াও তার কাছ থেকে তার ফোন কেড়ে নেয় ও বিশ্বনাথ ব্যানার্জি বলেন যে কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে দেবে। পাশাপাশি চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৪,৫,৬, তারিখে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে একা পেয়ে তাকে আবারো ধর্ষণ করে। বিশ্বনাথ ব্যানার্জি স্ত্রী সুপর্ণা ব্যানার্জির বোন মারা যাওয়ার কারণে হাবরায় গিয়েছিলেন সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বনাথ ব্যানার্জি নিজের বৌমাকে আবারো ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা সুপর্ণা ব্যানার্জি কে আবারও সমস্ত বিষয়টি জানায় এছাড়াও নির্যাতিতা গৃহবধূ কোনরকম ভাবে ফোনটা কাছে পেয়ে তার বাপের বাড়ি হাবরা ফোন করেন এবং বেশ কিছু কথা জানায় এবং নির্যাতিত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে চান বিশ্বনাথ ব্যানার্জি ও সুপর্ণা ব্যানার্জির কাছে তখন উভয়ই নির্যাতিতার বাবা-মাকে নানান কথা শোনায়।

এরপর তৎক্ষণাৎ গৃহবধূর মা-বাবা ছুটে আসে মেয়ের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়রামপুর মামুদপুরের এবং মেয়ের বাবা মাকে কাছে পেয়ে বেশ কিছু কথা বলে ও বিশ্বনাথ ব্যানার্জি ও সুপর্ণা ব্যানার্জি এসে যাওয়ার কারণে কথা বলেনি নির্যাতিতা এরপর নির্যাতিতার বাবা-মা বিষ্ণুপুর থানা প্রাথমিক অভিযোগ জানিয়ে তার মেয়েকে নিয়ে হাবরায় বাড়িতে চলে যান এরপর মেয়ে বাবা-মা কে কাছে পেয়ে তার শ্বশুর তাকে শারীরিক নির্যাতন করে সমস্ত কথা জানতে পেরে জয়রামপুর মামুদপুরে আসেন ও স্থানীয় মানুষজনেদেরকে জানান স্থানীয় মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্বনাথ ব্যানার্জীর বাড়িতে জানতে চাওয়ায় উৎশৃংখল হয়ে ওঠে বিশ্বনাথ ব্যানার্জি এবং তখনই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ পৌঁছায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ বিশ্বনাথ ব্যানার্জি ও সুপর্ণা ব্যানার্জি কে স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করে।

এছাড়াও নির্যাতিতা বাবা-মা বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। যেটি স্থানীয় মানুষজন সূত্রে জানা গিয়েছে যে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী আর্মি তে কাজ করে তার পোস্টিংপাঞ্জাবে বিশ্বনাথ ব্যানার্জীর বয়স ৫৬ বছর। দুই বছর আগে বিবাহ হয় উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার অশোকনগর গ্রামের নয়াসমাজের বাসিন্দা অনিমা দাস সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার জয়রামপুর মামুদপুরে বাসিন্দা প্রণব ব্যানার্জীর ।