গেস্টাপোরা এখনও ক্ষমতায় আসেনি। এলে কি করবে তার আগাম ইঙ্গিত ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রাখলো ২২ এপ্রিল, ২০২১, নির্বাচনী হামলায়। শহরের মূলকেন্দ্র নেতাজি সুভাষ বসু রোডে। অত্যাচারিত জন ছিলেন বিরোধীদলীয় পরিচিত একসময়ের ঘনিষ্ঠ মুখ!
ফ্যাসিস্টরা কি করতে পারে
তমাল সাহা
গেস্টাপো দাপাদাপি শুরু হয়ে গেছে কাঁচরাপাড়ায়
হিটলার,মুসোলিনি,ফ্রাঙ্কোরা কি করেছিল?
সেসব লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়।
নব প্রজন্ম যারা এখনো সেই ইতিহাস জানেনা,
দেখলো,শুনলো
গেস্টাপো বাহিনীর পদশব্দ
নির্বাচনী হামলায়।
উড়ছে গেরুয়া প্রবাহ
এখনো ক্ষমতায় আসেনি বাহিনী।
পরম্পরা যায় ঘটে
একটির পর একটি কাহিনী।
পার্টি অফিস ভাঙচুর, বোমাবাজি, মস্তানি।
ভেসে আসে আর্তরব,গোঙানি।
তুমিও চেয়ে দেখো, করো প্রত্যক্ষ
বোঝে কে হবে তোমার লক্ষ্য।
২২ এপ্রিল লেলিনের জন্মদিন।
সেদিন গেস্টাপো নেতার নেতৃত্বে চলল
বিধ্বংসী অত্যাচার,
যদিও অত্যাচারিত কোনোদিন ছিল
গেস্টাপো নেতার সহচর পরিচিত মুখ।
সেও পায়নি কোনো ছাড়,
সে এখন ঘরের কোণে
স্থির হয়ে আছে মনে তার গোপন অসুখ।
পরিবার-পরিজন কেঁদে কেঁদে বলে,
ছেড়ে দে রাজনীতি।
প্রকাশ্যে গেস্টাপো বাহিনীর মার তো খেয়েছিস, নেতা তো দেখলি নির্মম জল্লাদ!
আরো খেয়েছিস পদাঘাত।
সোজা বাংলায় যাকে বলে লাথি।
এদেশের আর কি হবে! কতদূর যাবে?
জ্বলে গেছে লালবাতি।
ছোট্ট মেয়ের কাছে আজ তার
মুখ দেখানো বড় দায়,
সে এখন জীবনের পৃষ্ঠা উল্টায়
একের পর এক পাতা হাতড়ায়।
কপাল চাপড়ায়, মাথায় রাখে হাত।
এতদিন সক্রিয় রাজনীতি করে এই অপঘাত।
নাৎসি বাহিনী আসছে, আসছে গেস্টাপোরা।
তুমি কান পেতে শোনো তার পদধ্বনি।
এখনও কি করবে তুমি,
তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এক্ষুনি।
গেস্টাপোরা কি কি করতে পারে,
তুমি যদি আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চাও,
শুনতে চাও তার হুবহু বর্ণনা,
তুমি ইতিহাসের পাতায় চলে যাও,
পড়ো ফ্রাঙ্কো হিটলার মুসোলিনি।
ধর্ম বিভেদ, রেষারেষি– সেখানে লেখা আছে দুনিয়ায় সব খুনোখুনি,
কত রকম ভাবে নরহত্যা করা যায়,
তার নির্মম বিবরণী।
এখনো তুমি নিঃশব্দ থাকো,
এখনো তুমি নীরব,
এখনো তুমি কি করবে,
ধরবে পলাতক ছদ্মবেশ
নাকি মুখোশ খুলে দেখাবে মুখ
বাঁচাবে তোমার স্বদেশ।