আমার ভারতবর্ষ করোনার গান গাইছে
তমাল সাহা

অশনি চমকানো করাল দন্তরাশি, দু কষ বেয়ে রক্ত ঝরে, ত্রিনয়নে আগ্নেয় বিচ্ছুরণ নিয়ে রাত্রি নেমে আসে ভারতের বুকে। জীবনকে নিয়ে মৃত্যুর মহাখেলা চলে।

সার সার অগণন মৃতদেহ এখানে সেখানে। দাহকার্যে দিল্লিতে স্থানের ঘাটতি দেখা দেয়। কবরভূমির জায়গাও বুঝি ফুরিয়ে যায়। হায়, ভারতবর্ষ, তোকে না লোকে উপমহাদেশ বলে ডাকে?

কবর খোঁড়ার লোক কমে আসে, কমে আসে সৎকারের লোক। তৈরি হয় ‘মেক শিফট’ অস্থায়ী শ্মশান। এমনকি ভ্রমণ উদ্যান-পার্কও ব্যবহৃত হয়
সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। ফুরিয়ে আস জ্বালানি কাঠ।

অদ্ভুতভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাও দখল করে চলে দাহকার্য।
অদ্ভুত জীবন-মৃত্যুর রহস্যময় খেলায় নেমেছে প্রকৃতি।সরাইকালে খান শ্মশানে জায়গা না পেয়ে সংলগ্ন পার্কে জ্বলছে একশোটি চিতা। সীমাপুরী লাগোয়া পার্কে চলছে দাহকার্য।

হায়, ভারতবর্ষ! হাভাতে মানুষের পেটে খিদের আগুন জ্বলছে আর মৃত মানুষের মুখে আগুন দেবার স্থান নেই!!

শ্মশান পার্ক

মড়া নেবে গো! মড়া!
এ মড়া করো দ্রুত বাড়ি ছাড়া!

শশানঘাট গেছে, গোরস্থান গেছে
ধাপার মাঠ গিয়েছে
জায়গা কোথায়? জায়গা কোথায়?
আগুন নিতে আর কে বাকি আছে?
পার্ক আছে, পার্ক আছে।

দাহপর্ব চলছে এখন পার্কে।
নেমেছে আঁধার
ইংরেজিতে বলছে প্রজন্ম
দেশ গিয়েছে ডার্কে।

পার্ক ছিল ফুলের মেলা– বাগান।
দাউ দাউ ঢিতা জ্বলে
হু হু বাতাস ডাকে, শ্মশান! শ্মশান!