অবতক খবর,জলপাইগুড়ি, সৌভিক দত্ত :: ডুয়ার্সের পথেই ৩১ সি জাতীয় সড়ক ধরে চলাচল করতে অতিক্রম করতে হয় একাধিক বনাঞ্চল। এই বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সড়ক পথে এক পাশ অন্য পাশের জঙ্গলে বন্য জন্তুদের যাতায়াতের করিডর রয়েছে।আর এই সড়ক পারাপারের সময় তীব্র গতির গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু ঘটে বহু বন্য প্রাণীর। তেমনই বৃহস্পতিবার সকালে নাগরাকাটা ব্লকের কালিখোলা বস্তির কাছে ৩১ সি জাতীয় সড়কে রাস্তাপারাপার করতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল একটি হরিনের। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে এদিন সকাল দশটা নাগাদ ডায়না জঙ্গল থেকে একটি দলছুট হরিন রাস্তা পার করার চেষ্টা করছিল। ঠিক সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ি হরিনটিকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। খবর পেয়েই ডায়না রেঞ্জের বনকর্মিরা এসে হরিনের মৃতদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জার প্রনব দাস বলেন, ” রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় হরিনটির মৃত্যু হয়েছে । ময়নাতদন্তের জন্য হরিনটির দেহ লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।ঘাতক গাড়িটির খোঁজ চলছে”।
হরিণের মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন একাধিক পরিবেশ প্রেমী। বনাঞ্চলের মাঝে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বনদপ্তরের তরফে গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড লাগানো রয়েছে। তবুও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ কেউই করেন না। এজন্য মাঝেমধ্যেই হাতি, বাইসন, হরিণের মতো বন্য প্রাণীর মৃত্যু হয়। চালসার পরিবেশ প্রেমী মানবেন্দ্র সরকার বলেন, “বনদপ্তর ও প্রশাসনের উচিত গাড়ি চালকদের প্রতি কঠোর হওয়া। না হলে তীব্র গতির গাড়ির ধাক্কায় বন্য প্রাণীর মৃত্যু ঠেকানো যাবে না “।