নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর : গতকাল বিকেলে নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছিল জরুরি নির্দেশিকা। তাতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সকাল সাতটা থেকে বেলা ১০টা অব্দি খোলা রাখা যাবে সব্জি ও মাছ বাজার। তারপর বন্ধ রাখতে হবেশব বাজার। বিকেলে ৩টে থেকে ৫টা অব্দি আবার খোলা রাখা যাবে বাজার। আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতে বেলা ১০ টার পর তৎপর হয়ে উঠলো হাওড়া জেলা প্রশাসন। জেলার কালিবাবুর বাজার, নেতাজি সুভাষ রোডে বাজার, ডোমজুড়ের মাকরদা বাজার সহ সলপ বাজার বন্ধ করাতে অভিযানে হাওড়া সিটি পুলিশ।
নির্দেশিকা অনুযায়ী মুদিখানার দোকান ও ওষুধের দোকান সহ অত্যাবশ্যক দ্রব্যের দোকান বাদ দিয়ে অন্য সমস্ত খোলা দোকান বন্ধ করায় পুলিশ। বাজারের ভেতরে সব্জি বিক্রেতাদের ডালা তুলে দেয় পুলিশ। বাজারের দোকানিরা তাদের দোকান বন্ধ করলেও তাঁদের বক্তব্য, দুই বেলা নয়, এক বেলায় টানা ৫-৬ ঘন্টা বাজার বসার অনুমতি পেলে তাঁদের ততটা ক্ষতির মুখে পড়তে হবেনা। তবে বাজার হাট খোলা থাকার সময় যে হারে মানুষ বাজারে কেনাকাটার জন্য যাচ্ছেন এবং দুরত্ব বজার রাখছেন না, তাতে এই আংশিক লকডাউনে কতটা কোভিড সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে হাওড়াতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২২ এবং মৃতের সংখ্যা ৩। মার্চ মাস থেকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০। লাগামহীন সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যে নবান্ন থেকে রাজ্যজুড়ে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আর এই নির্দেশ না মানলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। ক্রেতা বিক্রেতারা দাবি করছেন যেভাবে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে তাতে আংশিক লকডাউন দরকার ছিল যদিও তাতে ব্যবসায় ক্ষতি হবে।
ক্রেতারা জানিয়েছেন হাওড়ায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। প্রশাসনের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। গত বছরে সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এবারে সেই ব্যবস্থা না থাকায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।